বাংলা হান্ট ডেস্কঃ SSC নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে ফের উত্তাল বিচারালয় (Calcutta High Court)। একদিকে সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’দের বাদ দিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের। অন্যদিকে, সেই বিজ্ঞপ্তিতেই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ, নতুন বিজ্ঞপ্তির বিতর্ক
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায় অনুযায়ী, পুরনো প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হওয়া প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে চাকরি হারাতে হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই মে মাসের শেষে এসএসসি (SSC) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়, চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়েই শুরু হবে নিয়োগ। কিন্তু এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার উপর ১০ নম্বর এবং ‘লেকচার ডেমো’-র জন্য আরও ১০ নম্বর বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ মামলাকারীদের মতে, যখন নিয়োগই বাতিল হয়েছে, তখন সেই বাতিল হওয়া অভিজ্ঞতা থেকেই নম্বর দেওয়ার ভিত্তি কীভাবে তৈরি হয়?
‘অতিরিক্ত নম্বরেই বৈষম্য’, দাবি মামলাকারীদের
ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারীরা আদালতে (Calcutta High Court) জানান, অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার এই ব্যবস্থায় প্রকৃত যোগ্যরাও বঞ্চিত হবেন। উপরন্তু নিয়োগের বয়সসীমা, নম্বর বণ্টনের যুক্তি, এবং নিয়মের মধ্যে ‘স্পষ্টতা’ না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সিঙ্গল বেঞ্চ এই সমস্ত দিক স্পষ্ট না করেই নতুন বিজ্ঞপ্তি মেনে নিয়েছে। ফলে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই এবার ডিভিশন বেঞ্চে আইনি লড়াই শুরু করেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষার নম্বর ৫৫ থেকে বাড়িয়ে ৬০ করা হয়েছে। আগের মতোই ইন্টারভিউ থাকবে ১০ নম্বরের। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর ৩৫ থেকে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ১০-এ। বাকি ২০ নম্বর বরাদ্দ শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ও লেকচার ডেমোর জন্য। এখানেই মূল আপত্তি মামলাকারীদের। তাঁদের যুক্তি, অতীতের বাতিল হওয়া চাকরির অভিজ্ঞতা থেকে নম্বর দিলে, আদালতের রায়ই প্রশ্নের মুখে পড়ে। এই প্রক্রিয়ায় বহু প্রার্থী স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়বেন বলে তাঁদের আশঙ্কা।
শুনানি এখনও বাকি, পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে নজর (Calcutta High Court)
এই আবেদনের শুনানির দিন এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কী অবস্থান নেয়, তা নিয়েই এখন উদ্বেগে প্রার্থীরা। এর আগে লুবানা পারভিন মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চ যেমন অবস্থান নিয়েছে, এবার তার উল্টো পথে হাঁটে কি না ডিভিশন বেঞ্চ, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ ইউনিয়ন রুমে বসেই তরুণীর মাসাজ নিচ্ছেন তৃণমূলের যুবনেতা? কসবাকাণ্ডের আবহেই ভাইরাল ভিডিও
প্রসঙ্গত, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে চর্চিত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মামলা ও নির্দেশের দড়ি টানাটানিতে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতই থেকে যাচ্ছে।