বছরের পর বছর ধরে ইউনিয়ন রুম দখল করে দাদাগিরি? এবার বড় কথা জানিয়ে দিলেন ব্রাত্য বসু

Published on:

Published on:

bratya basu

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবাকাণ্ডের (Kasba Case) পর থেকেই চর্চায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম। যেখানে নির্বাচনই হয়নি, সেখানে ইউনিয়ন রুমের (Union Room) অস্তিত্ব ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এরই মধ্যে রাজ্যের একাধিক কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের ‘দাদাগিরি’-র ছবি সামনে এসেছে। কোথাও ইউনিয়ন রুমে বসে চলছে রঙিন তরল পান, কোথাও ছাত্রীকে দিয়ে মাথা টিপিয়ে নিচ্ছেন ইউনিয়নের দাদা। পাস আউট হয়ে যাওয়ার পরও বছরের পর বছর ধরে কলেজের ইউনিয়ন রুম দখল করে রাখার অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূলের যুব নেতারা।

ইউনিয়ন রুম দখল নিয়ে বড় মন্তব্য ব্রাত্যর | Bratya Basu

এই সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা হলে সম্প্রতি যুগান্তকারী নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে, যত দিন না ভোট হচ্ছে অর্থাৎ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে, ততদিন গোটা রাজ্যে কোন অবৈধ ছাত্র ইউনিয়ন অফিস খোলা থাকবে না। যতদিন না পর্যন্ত কলেজগুলিতে ছাত্র ভোট হচ্ছে ততদিন গোটা রাজ্যের সব কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এবার এই ইসুতেই মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু (Bratya Basu)। বছরের পর বছর ইউনিয়ন রুম দখল করে বসে থাকার এই বিষয় নিয়ে শিক্ষা-দফতর ভাববে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য। উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতা সহ জেলাগুলিতেও কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। অথচ ইউনিয়ন চলছে।

এই নিয়ে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাইকোর্ট জানিয়েছে , একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অনুমতি ছাড়া, নির্বাচনের সময় ছাড়া কলেজের ইউনিয়ন রুম খোলা যাবে না। আপাতত রাজ্যের সব কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের রুম বন্ধ রাখতে হবে।

Bratya Basu

আরও পড়ুন: ‘গোটা রাজ্যের কলেজের এই চিত্র’—বালুরঘাট কলেজের শাসক নেতার দাদাগিরির ভিডিয়ো শেয়ার করে বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

পাশাপাশি কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবছে তাও আদালতকে হলফনামা আকারে জানানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “কোর্ট অর্ডার হয়েছে। আইনজীবীকে বলেছি এসওপির ভিত্তিতে জমা দিতে। মুখ্যসচিবকেও বলেছি। আমাদের বিভাগ এরপর ভাববে।”