বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বামেদের ডাকা বাংলা বনধ ঘিরে বিতর্ক যখন চরমে, ঠিক তখনই অতীতের রক্তাক্ত দিনগুলির স্মৃতি তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ফেসবুক পোস্টে ১৯৮৭ সালের সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা টেনে এনে তিনি বলেন, “মারের জবাব মারেই দেওয়া উচিত ছিল।” বাম জমানার ধর্মঘট সংস্কৃতি এবং কংগ্রেসের বিরোধিতার দিন গুলিকে স্মরণ করে কুণাল বলেন, আজও বদলায়নি সিপিএমের (CPIM) মানসিকতা।
স্মৃতির সেই দিন: রাস্তায় রক্ত, পুলিশের নীরবতা
১৯৮৭ সালে কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির নেতৃত্বে ‘রাস্তা রোকো’ ডেকেছিল কংগ্রেস। পাল্টা ‘রেল রোকো’ ডাকে পথে নামে বামেরা (CPIM)। কুণালের (Kunal Ghosh) দাবি, সেদিন সুকিয়া স্ট্রিটে বাম নেতা লক্ষী দে ও জহর গুপ্তের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা হয়েছিল। পুলিশ ছিল সম্পূর্ণ নীরব। কুণালের অভিযোগ, তাঁদের গ্রেফতার করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, পুলিশ দলের দলদাস হয়—এ কথা আর আলাদা করে বলার কিছু নেই।”
কুণালের (Kunal Ghosh) কথায়, “আজ যারা রাস্তায় নেমে নাটক করছে তারা পুরোনো অভ্যেস ভুলতে পারেনি।” তাঁর মতে, ধর্মঘট মানেই কর্মনাশা (strike), আর বাংলার মানুষ সেই যন্ত্রণার সাক্ষী বহুবার হয়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, সেইসব দিনগুলিতে যারা বিরোধীদের ওপর হামলা চালাত তারা আজও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়। অথচ তৃণমূল সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা নেয়নি। বরং কুণালের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, “আমাদের আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল।”
সোশ্যাল মিডিয়াই এখন বামের (CPIM) ভণ্ডামির হাতিয়ার
“তখন সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না, তাই অনেক কিছু চাপা পড়ে গিয়েছিল। এখন পুলিশ যখন কিছু করলেই, ‘মাকুরা’ সোশ্যাল মিডিয়া ভরে দিচ্ছে ভণ্ডামিতে।” এমনই আক্ষেপ করে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, আজ যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় চিৎকার করছে, তারা নিজেরাই অতীতে হামলার রাজনীতি চালিয়েছে। কুণালের কথায়, “সেদিন যদি প্রতিঘাত করতাম, আজ এত উগ্র হতো না তারা।”
আরও পড়ুনঃ দলের মধ্যে লুকিয়ে ধর্ষক? এবার দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলল খোদ তৃণমূল নেত্রী
“লাফালাফি করে লাভ নেই, বাংলার মানুষ ওদের চেনে”
একটু রসিক ভঙ্গিতেই কুণাল (Kunal Ghosh) বলেন, “বামেরা যতই লাফাক, বাংলার মানুষ তাদের ঘাড়ধাক্কা দেবে।” যারা আজ পথে নামছে, তারা আসলে বিজেপির ভোটার ছাড়া আর কিছুই নয় বলেই দাবি তাঁর। তৃণমূলের এই মুখপাত্রের পোস্ট নিঃসন্দেহে বামেদের বিরুদ্ধে পুরনো অভিমান, বর্তমান রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যতের সতর্কবার্তা—তিনেরই মিশেল।