বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে সংবাদ শিরোনামে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment)। বহুদিন চলতে থাকা এই এক বিরাট কেলেঙ্কারির খবর সামনে আসায় রীতিমতো ‘থ’ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের মানুষজন। একের পর এক নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতার, টাকার পাহাড় উদ্ধার, শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), একাধিক তৃণমূল বিধায়ক থেকে শিক্ষা দফতরের বহু আধিকারিক। ২০২২ পেরিয়ে ২০২৩ প্রায় শেষ, এই সময় এসে শোনা যাচ্ছে ফাইনাল ল্যাপে এসে পড়েছে CBI প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। এমনটাই সূত্রের খবর।
আদালতের নির্দেশে একজোটে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে ইডি, সিবিআই। আর নিত্যদিন তদন্তে উঠে আসছে নয়া সব তথ্য। এই কোটি কোটি টাকার বিনিয়মে চাকরি বিক্রির নেপথ্যে কাদের হাত? জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই নিয়ে দুই আলাদা খসড়া তালিকা তৈরী করেছে সিবিআই। যেই তালিকায় রয়েছে বড় চমক। সিবিআই সূত্রে খবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর সেই তালিকায় এবার আরও এক মন্ত্রীর নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি নয়, বালুকে ধরা হয়েছে… জ্যোতিপ্ৰিয়র গ্রেফতারির ‘আসল’ কারণ জানিয়ে দিলেন মমতা
CBI এর সম্ভাব্য প্রভাবশালী তালিকা:
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী।
চন্দ্রনাথ সিনহা, মন্ত্রী।
মানিক ভট্টাচার্য, TMC বিধায়ক।
তাপস সাহা, TMC বিধায়ক।
জীবন কৃষ্ণ সাহা, TMC বিধায়ক।
জাফিকুল ইসলাম, TMC বিধায়ক।
কানাই মণ্ডল, TMC বিধায়ক।
অমল আচার্য, প্রাক্তন বিধায়ক।
প্রবীর কয়াল, ব্যাক্তিগত সচিব, বিধায়ক
নবকুমার সাহা, নবগ্রাম, মুর্শিদাবাদ।
জয়দীপ দাস, বারাকপুর, পুরপিতা।
বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত, কাউন্সিলর।
দেবরাজ চক্রবর্তী, কাউন্সিলর।
ওদিকে, এজেন্ট কাঁথির দীপক জানা, নবকুমার দাস, মালদহের ফিরোজ আনসারি, ইমরান, পলাশ মণ্ডল, বিভাস অধিকারী, পূর্ব মেদিনীপুরের অরণ্যক আচার্য,
কালীপদ পতি, অমিতাভ মণ্ডল, মৃণাল চক্রবর্তী, তাপস মিশ্র, কোলাঘাটের অতনু গুচ্ছাইত, মুর্শিদাবাদের পিপুলউদ্দিন সেখ, কামরুদ্দিন, সংগ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুরের সুদীপ গঙ্গোপাধ্যায়, নিউটাউনের রাকেশ সিং, দিনাজপুরের বেঞ্জামিন হেমব্রম, মেচেদার নিখিলেশ বেরা। এছাড়াও তদন্তে তাপস মণ্ডলের এজেন্ট হিসেবে আরও বেশ কিছু নাম সামনে এসেছে।