বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) স্পষ্ট জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে SSC-র নয়া নিয়োগ (SSC Recruitment Case) প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই টেন্টেড বা দাগি বলে চিহ্নিতরা মূলত চিহ্নিত অযোগ্যরা অংশ নিতে পারবেন না। এদিকে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার ও এসএসসি। এবার সেখানেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হল তাদের।
আদালতের প্রশ্নের মুখে কমিশন | Calcutta High Court
কেন এসএসসি ‘দাগি’দের পাশে দাঁড়াচ্ছে? এদিন এমনই প্রশ্ন তোলে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। উত্তরে এসএসসি-র আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম যুক্তিতে বলেন, নতুন নিয়োগে কারা অংশ নজতে পারবেন আর কারা পারবেন না, সেই বিষয়ে নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্ট প্যানেল-বহির্ভূত, মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে এবং সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি প্রাপকদের ‘দাগি’ বলে চিহ্নিত করেছিল। সুপ্রিম কোর্টও তাতেই মান্যতা দিয়েছে। এবার ঠিক কারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবেন আর কারা পারবেন না সেই বিষয়ে স্পষ্ট হতেই ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়া হয়েছে।
‘দাগি’দের হয়ে ঝোড়ো সওয়াল কল্যাণের
‘দাগি’দের হয়ে জোরালো সওয়াল করে কল্যাণ বলেন, দাগি’দের চাকরি বাতিল হয়েছে। বেতনও ফেরত দিতে হচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষায় কেন বসতে দেওয়া হবে না সেই নিয়ে প্রশ্ন কল্যাণের। আইনজীবীর কথায়, ‘‘একই দোষের জন্য কি একাধিক শাস্তি দেওয়া যায়?” প্রসঙ্গত এর আগে মঙ্গলবার হাইকোর্টের একক বেঞ্চেও এই একই যুক্তি দিয়েছিলেন কমিশনের আইনজীবী।
উল্লেখ্য, এদিনের শুনানিতে হাইকোর্টের প্রশ্ন, অযোগ্য বলে চিহ্নিতদের কত জন এখনও পর্যন্ত নতুন পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছেন? এসএসসি জানিয়েছে, সংখ্যাটা ১৮০। ‘দাগি’দের ১০ শতাংশ এখনও পর্যন্ত আবেদন করেছেন বলে জানায় এসএসসি।
আরও পড়ুন: মালাবদল থেকে সিঁদুরদান! ক্যাম্পাসেই তৃণমূল নেতার বিয়ে, বিতর্কের শিরোনামে কাকদ্বীপ কলেজ
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অযোগ্যরা অংশ নিতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়ে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অযোগ্যদের কেউ ইতিমধ্যে আবেদন করলে তাও বাতিল করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।