বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভরা মৌসুমেও ইলিশ মাছের (Hilsa Fish) দেখা নেই সেইভাবে। এমনকি বাজারে কিছু ইলিশ পাওয়া গেলেও তার দাম আকাশচুম্বী। বৈশাখ থেকে আশ্বিন এই ছয় মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। এই ছয় মৌসুমের অর্ধেক শেষ প্রায়। তবুও উপকূলের নদী ও সমুদ্রে ইলিশের দেখা মিলছে না। কিন্তু ইলিশের দেখা না মিললেও পাওয়া যাচ্ছে অনান্য মাছ। যার ফলে কিছুটা হলেও খুশি মৎস্যজীবীরা।
বাজারে দেখা নেই ইলিশের! অন্য কোন মাছে স্বাদ মেটাচ্ছে কলকাতাবাসী (Hilsa Fish)
সূত্রের খবর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আশায় বুক বেঁধে দিন-রাত উত্তাল সাগরে ভেসে থেকে দেনার বোঝা ভারী করে শূন্য হাতে ঘাটে ফিরছে জেলেদের ট্রলার। তবে ইলিশ মাছের পরিমান কম থাকলেও অন্য মাছ পড়ছে মৎস্যজীবীদের জালে। যার ফলে কিছুটা খুশি মৎস্যজীবীরা। পাশাপাশি আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে গভীর সমুদ্রে যেতে পারছে না মৎস্যজীবীরা। কিন্তু মোহনার কাছ থেকেই মিলছে ভোলা, পারশে, বুমেরাং,পাতা, নিহারি, ধরনের মাছ।
জানা যায়, চলতি বছরের প্রথমের দিকে ইলিশের (Hilsa Fish) দেখা মিললেও বর্তমানে এই মাছের দেখা মিলছে না। ইলিশ মাছের দেখা না মিলল গভীর সমুদ্র থেকে জেলেরা লটে মাছ, সামুদ্রিক কাঁকড়া ও অন্যান্য মাছ নিয়ে ফিরছে। সূত্রের খবর, মৎস্যজীবীদের মতে ইলিশ মাছ (Hilsa Fish) পাওয়া গেলে ব্যবসা আরও লাভ জনক হত বলে মনে করছেন তারা।
আরও পড়ুন: আবার বাড়ল সোনার দর! শুক্রবার কোথায় দাঁড়িয়েছে হলুদ ধাতুর দাম, জানুন…
এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা সহ একাধিক মৎস্য মন্দরে মৎস্যজীবীরা ইলিশ বাদ দিয়ে অন্যান্য সামদ্রিক মাছ আনছে বিপুল পরিমাণে। মৎস্যজীবীদের মতে ইলিশের দেখা না মিললেও এই সামুদ্রিক মাছগুলো কলকাতা বাসীদের চাহিদা মেটাতে পারবে। সূত্রের খবর, আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী আবহাওয়ার পরিস্থিতি বদলালে মিলবে ইলিশের। এই কথার সঙ্গে একমত মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যরা। তারা জানিয়েছেন, ইলিশ সকলের প্রথম পছন্দে থাকে। তবে ইলিশে পরিমাণ কম থাকলেও অন্য মাছে মোটের উপর লাভ হচ্ছে।