পাকিস্তানের “ঔদ্ধত্য” এবার হবে শেষ! বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্যে বড় পদক্ষেপের পথে ভারত

Published on:

Published on:

Pakistan will be affected by this move of India.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত (India) সরকার বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ৩,১১৯ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুততর করছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মূলত, এই বিপুল অর্থ জম্মু ও কাশ্মীরে ব্যয় করা হবে।কিশতওয়ার জেলায় চেনাব নদী তথা চন্দ্রভাগার ওপর নির্মিত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ “কোয়ার বাঁধ” প্রকল্পটি দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে, এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারত (India):

এটি একটি গ্রিনফিল্ড জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। যা যা জল প্রবাহের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই বাঁধ থেকে ৫৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এটি প্রায় ১০৯ মিটার উঁচু একটি কংক্রিট গ্র্যাভিটি ড্যাম। যেটি সম্পূর্ণ করতে ৪,৫২৬ কোটি টাকা খরচ হবে।

Pakistan will be affected by this move of India.

চন্দ্রভাগা নদীর প্রবাহ পরিবর্তনের কাজ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সফলভাবে সম্পন্ন হয়। যেকোনও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও, ৬০৯ মিটার দীর্ঘ মূল সুড়ঙ্গ খননও শুরু হয়েছে। এখন বাঁধের মূল নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।

আরও পড়ুন: এক টাকায় মিলবে জমি! প্রতিটি জেলায় শপিং মল তৈরির ঘোষণা মমতার, জানিয়ে দিলেন শর্ত

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে। মূলত, জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে যাতে বিদ্যুতের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পায় এবং শিল্প সংক্রান্ত উন্নয়ন জোরদার হয় সেজন্য এই প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: AI-র মাধ্যমে ছবি বিকৃতির অভিযোগ! বড় পদক্ষেপ নিলেন রাজন্যার স্বামী প্রান্তিক

পাকিস্তানের ওপর এর প্রভাব: এই প্রকল্পটি এমন এক সময়ে তৈরি হচ্ছে যখন সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। চন্দ্রভাগা নদী সিন্ধু নদীর একটি প্রধান উপনদী এবং পাকিস্তান এর জলপ্রবাহের ওপর নির্ভরশীল। ভারতের (India) এই নির্মাণের ফলে জলপ্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় পাকিস্তান চিন্তিত। যদিও ভারত (India) এখনও পর্যন্ত চুক্তি লঙ্ঘন করেনি তবুও চুক্তির পর্যালোচনার দাবি এবং পাকিস্তানের ক্রমাগত আপত্তি এই বিষয়টিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।