বাংলা হান্ট ডেস্ক: সুগার বেড়ে যাওয়া কিংবা কমে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় থাকেন ডায়াবিটিসের (Diabetes) রোগীরা। হাতের কাছে সবসময় রাখতে হয় ইনসুলিন কিংবা ইনসুলিন ইঞ্জেকশন রাখতেই হয়। কিন্তু এ বার সেই সমস্যার সমাধান করতে নতুন এক যন্ত্র আবিষ্কারের দাবি করেছেন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT)-র গবেষকেরা।
এই ছোট্ট যন্ত্রটি হাতের মুঠোয় রাখবে সুগার, নতুন আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের (Diabetes)
‘নেচার বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ জার্নালে এই বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, নতুন যন্ত্রটি শরীরের ভিতর বসিয়ে দেওয়া হবে। এর ফলে রক্তে শর্করার (Blood sugar) ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আপাতত টাইপ ১ ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যই যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে। এটি শরীরে বসিয়ে দিলে বার বার ওষুধ খাওয়া বা মনে করে ইনসুলিন (Insulin) নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এমনকি যন্ত্রটি নিজে থেকেই সে কাজ করবে।
টাইপ ১ ডায়াবিটিস কি?
টাইপ ১ ডায়াবিটিস হল অটোইমিউন ডিজ়অর্ডার। মূলত জিনগত সমস্যার জন্য হয়। অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে যখন মানুষের শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়, সে অবস্থাকে টাইপ ১ ডায়াবিটিস বলা হয়। ইনসুলিন (Insulin) হরমোনই শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।যন্ত্রটির কাজ হবে এই হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রেখে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখা। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে পলিমার দিয়ে। এর বাইরে নিকেল ও টাইটানিয়ামের স্তর আছে। যন্ত্রটি আকারে খুবই ছোট, সহজেই শরীরের ভিতরে প্রতিস্থাপন করা যাবে। এর ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচলের ব্যবস্থাও থাকবে।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন দেখছেন ১৬ বার সূর্যোদয়! মহাকাশে ২ সপ্তাহে কী কী করলেন শুভাংশুরা? মিলল আপডেট
এই যন্ত্রটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে ইঁদুরের উপরে, এই পরীক্ষায় ইনসুলিন (Insulin) ও গ্লুকাগন হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এছাড়াও, গ্লুকাগন অগ্ন্যাশয়ের আলফা কোষ থেকে উৎপাদিত পেপটাইড হরমোন, যা রক্তে গ্লুকোজ়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। এর বিপরীত হল ইনসুলিন, যা মূলত রক্তে গ্লুকোজ়ের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। এই দুই হরমোনের ওঠানামা নিয়ন্ত্রিত হলেই, রক্তে শর্করা আচমকা বৃদ্ধি পাওয়া বা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এই নতুন যন্ত্রটি সেই কাজ করবে বলে দাবি করছে বিজ্ঞানীরা। এমনকি এই নতুন যন্ত্রটি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, আচমকা সুগার বেড়ে বা কমে গেলে সেটিকে দশ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। যার ফলে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা কম থাকবে।