শীর্ষ নেতৃত্বই শেষ কথা, চলবে না ‘লবি’, ২৬-এর আগে ‘অবাধ্য’দের বাগে আনতে তৎপর TMC

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বছর ঘুরলেই নির্বাচন। তার আগে দলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সতর্ক তৃণমূল (Trinamool Congress)। জেলা, ব্লক থেকে বুথ সর্বস্তরেই চলছে স্ক্রিনিং। অভিযোগ উঠলেই কখনও শোকজ করে, কখনও আবার তৃণমূল ভবনে ডেকে দলীয় শৃঙ্খলা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘অবাধ্য’দের। দলের কোথাও কোনও ভেদাভেদ নেই। কিন্তু ক্ষুদ্র স্বার্থে দলের অন্দরেই কেউ কেউ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে। এদিকে এতে বদনাম হচ্ছে দল। এসব যে আর বরদাস্ত করা হবে না স্পষ্ট করে দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব।

নির্বাচনের আগে দলীয় শৃঙ্খলার পাঠ তৃণমূলের (Trinamool Congress)

দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি সম্প্রতি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, দলের ঊর্দ্ধে কেউ নয়। দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে সকলকে। দলের (Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিশ্রম এবং সহযোগিতায় দল চলছে। কোনো সামগ্রিক সমস্যা তৈরি হলে শীর্ষ নেতৃত্বই তা আলোচনা করে মিটিয়ে নেন। তাই ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য দলকে বদনাম করা যাবে না।

Trinamool Congress is putting pressure on maintaining rules before election

একুশে জুলাই নিয়ে ব্যস্ততা: এগিয়ে আসছে একুশে জুলাই। সেই সমাবেশকে মাথায় রেখে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শাসক দল (Trinamool Congress)। সমাবেশের আগেই উত্তরবঙ্গ সহ অন্যান্য জেলা থেকেও বহু কর্মী সমর্থক আসেন কলকাতায়। তাদের আসা থাকার বন্দোবস্ত নিয়েও ব্যস্ততা রয়েছে চরমে। তবে এর সঙ্গে সঙ্গেই দলের (Trinamool Congress) শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির পর্যালোচনার কাজও চলছে পাল্লা দিয়ে।

আরো পড়ুন : ৯৩ কোটির খোঁজে শহর তোলপাড়! মুকুন্দপুরের অভিজাত আবাসনে ফের ED হানা

রয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচি: নির্বাচনী প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে আরও একটি কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে রাজ্য সভাপতি নিজে কখনও জেলা সফরে যাবেন। আবার কখনও জেলা নেতৃত্বকে ডেকে নেওয়া হবে তৃণমূল (Trinamool Congress) ভবনে। তবে তার আগেই দলের শৃঙ্খলার দিকটা স্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন : ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়! জমা পড়েছে সাড়ে ৩ লক্ষ আবেদন, ‘দাগি’দের ধরবে কীভাবে SSC?

স্পষ্ট জানানো হয়েছে, জেলায় যে স্তরের নেতাই হন না কেন, শীর্ষ নেতৃত্বের বার্তাই শেষ কথা। দলে ভেদাভেদ, লবিবাজি করা যাবে না। বিরোধীরা যাতে কিছু বলার সুযোগ না পায় সেকথা মাথায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচনের আগেই।