বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোনারপুরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শিক্ষাঙ্গনে লজ্জাজনক ছবি। এবার কাকদ্বীপের সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়। ছাত্র সংসদের ইউনিয়ন রুমে মেঝেতে বিছানা পেতে মাসাজ চলছে (College Scandal)! বালিশে মাথা রেখে উবু হয়ে শুয়ে রয়েছে এক যুবক। আর সেই মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। প্রশ্ন উঠছে, কে এই যুবক? কেনই বা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে এমন কাণ্ড?
বহিরাগত যুবক, কলেজে বিছানা পাতা, চলছে মাসাজ (College Scandal)
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের কক্ষেই মাসাজের দৃশ্য (College Scandal)। ঘরের মধ্যে সাদা চাদর পাতা, মাথার নিচে বালিশ, আর সেই অবস্থায় এক যুবকের পিঠে চলছে মালিশ। অভিযোগ উঠছে, ওই ব্যক্তি বহিরাগত (Outsider)। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবিভিপি (ABVP) ও ডিওয়াইএফআই (DYFI)। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে উঠেছে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ।
প্রাক্তন ছাত্রদের ক্ষোভ, প্রিন্সিপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
এই ঘটনার পরেই মুখ খুলেছেন কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র তথা এবিভিপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, “প্রথম বর্ষে ভর্তির সময় থেকেই এই দৃশ্য দেখতে হয়। প্রিন্সিপাল দায় এড়াতে পারেন না। বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে যাতায়াত তাঁর জানাই থাকে। তিনি কিছু বলেন না কারণ ‘চাকরির ভয় আছে!” কলেজের শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, কলেজে এখন ছাত্র রাজনীতি (Student Politics) নয়, চলছে বেপরোয়া দলীয় সংস্কৃতি।
‘রাজনীতি করি না, চোট পেয়েছিলাম’, বহিরাগত যুবকের সাফাই
অভিযুক্ত যুবক দেবজ্যোতি পাল নিজে স্বীকার করেছেন ঘটনাটি। তাঁর বক্তব্য, “এটা অনেক আগের কথা। মাঠে খেলতে গিয়ে পিঠে চোট পাই। বৃষ্টি হচ্ছিল, ভিজতে চাইনি। তখন ইউনিয়ন রুমে ঢুকে একটু মাসাজ নিচ্ছিলাম। আমরা কেউ রাজনীতি করি না, ছাত্র সংসদের সদস্যও নই।” কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ছাত্র নয়, সংসদের রুমে কীভাবে এলেন তিনি?
আরও পড়ুনঃ জিপিএফ সুদ নিয়ে রাজ্যের নয়া বিজ্ঞপ্তি, কী বলছে কর্মীরা?
ক্যাম্পাসে বহিরাগত! ছাত্র-নেতৃত্বে নাকি দলের প্রশ্রয়?
ঘটনার জেরে ফের একবার শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা (Campus Indiscipline) প্রশ্নের মুখে। ছাত্র সংসদের ঘর কীভাবে এমন ব্যক্তির ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে? শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বিরোধীরা বলছে, “এগুলো নতুন নয়, শুধু ক্যামেরায় ধরা পড়ল বলেই সবাই জানল।” স্থানীয় মহলেও উঠছে প্রশ্ন, “এগুলো কি কলেজ, না দলীয় দপ্তর?”