বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তর হোক বা দক্ষিণ, দুই বঙ্গেই কমেছে শীতের (Winter) আমেজ। নতুন বছর আসতে হাতে আর মাত্র দুদিন। ডিসেম্বরের শেষে যেখানে জাঁকিয়ে শীত পড়ায় কথা সেখানে শীতবস্ত্র ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষজন। কেউ যেন থমকে দিয়েছে শীত। দিনের তাপমাত্রা গত কয়েকদিন ধরে ক্রমশ্য উর্দ্ধমুখী। রাতের তাপমাত্রার পতনও তেমনভাবে হচ্ছে না।
আবহাওয়া দপ্তর (Weather Department) জানাচ্ছে, বর্তমানে বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩.১ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ওপার বাংলায় থাকা এই ঘূর্ণাবর্তের জেরেই বাড়ছে তাপমাত্রা। ভোরের দিকে দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলা কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। তবে দিনের বেলা তার লেশ মাত্র নেই। ডিসেম্বরেও দিনভর রোদ।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বর্ষবরণেও জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই। আসলে পুবালী হাওয়ার দাপটে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢোকার কারণে বাড়ছে তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। আগামী বেশ কয়েকটা দিন আবহাওয়া এমনই থাকবে।
আরও পড়ুন: বিপুল টাকা নয়ছয়! চালু করতে দেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় প্রকল্প, লোকসভায় নয়া কৌশলে প্রচার BJP-র
আপাতত জানুয়ারির ৪ তারিখ পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই ওপরে থাকবে। মহানগরীর তাপমাত্রারও সেরকম হেরফের হবে না। আগামী বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে থেকে ফের শীত পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
ওদিকে উত্তরবঙ্গে শীত থাকলেও তা স্বাভাবিকের তুলনায় কম। উত্তরের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এই সমস্ত জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি রয়েছে। মালদার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি মতো বেশি। দিনে দার্জিলিং এর তাপমাত্রা থাকছে প্রায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। তবে ২-৩ দিনে পাহাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ৩১ শে ডিসেম্বর থেকে পাহাড়ে বৃষ্টি হতে পারে। তুষারপাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।