বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবা কাণ্ডের আবহেই IIM জোকার বয়েজ হস্টেলে ধর্ষণের অভিযোগ (IIM Joka Assault Case) ঘিরে উত্তাল রাজ্য। দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ (Rape Allegations) এনেছেন এক তরুণী। ইতিমধ্যেই তার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজ্যের একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিভাবে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে? সেই নিয়ে সমানে প্রশ্ন উঠছে। তবে এই উত্তপ্ত আবহেই এবার বিরাট দাবি করলেন নির্যাতিতার বাবা। যার জেরে ১৮০ ডিগ্রি কোণে ঘুরে গেল জোকা কাণ্ডের মোড়।
কী দাবি ‘নির্যাতিতা’-র বাবার? IIM Joka Assault Case
“রাত্রি ৯টা ৩৪ নাগাদ মেয়ে ফোন করে জানায় সে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়েছে। পরে ও অচেতন হয়ে পড়ে। লোকেশন ঠিক মত বলতে পারেনি ও। তারপর ওকে সময় উদ্ধার করতে যাই, কিন্তু ও সেখানে ছিল না। তারপর দেখলাম ওর লোকেশন পিজিতে দেখাচ্ছে। ওখানে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে ও এসএসকেএম নিউরোলজিস্ট ডিপার্টমেন্টে রয়েছে। পরবর্তীকালে জানতে পারি যে হরিদেবপুর থানা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “জানতে পারি যে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে আমি পুলিশকে গিয়ে বলি। ওরা একটা অভিযোগের কথা বলে। কিন্তু আমি মেয়ের থেকে জানতে পারি এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। মেয়ে আমাকে জানিয়েছে মেয়ের সঙ্গে ধর্ষণের মতন কোন ঘটনা ঘটেনি। মেয়ের সঙ্গে আমি পরিষ্কার করে কথা বলতে পারিনি মেয়ে ঘুমাচ্ছে।” হরিদেবপুর থানার পুলিশ তার মেয়েকে কোথা থেকে পেয়েছেন সেটাও জানেন না বাবা। অভিযোগ, মেয়ে লেখেনি এমনটাই মন্তব্য তার বাবার।
সাংবাদিক : মেয়ে বাড়ি ফেরার পর কথা বলেছেন?
তরুণীর বাবা : হ্যাঁ, মেয়ে বলল ওর সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করেনি। আমি মেয়েকে ফিরে পেয়েছি আর কিছু চাই না। আমার মেয়ে নরমাল।”
যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার সঙ্গে মেয়ের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানান তিনি। মেয়ে যেখানে পড়াশোনা করে সেখানে একটি কাগজ জমা দিতে গিয়েছিল মাত্র। পুলিশ লিখিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাউন্সেলিংয়ের নামে বয়েজ হস্টেলে ডেকে আচ্ছন্ন করে ধর্ষণ! কসবার পর এবার শিরোনামে জোকা IIM
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন ওই তরুণী। ‘নির্যাতিতা’-র অভিযোগ, কাউন্সেলিং সেশনের নাম করে তাকে পিৎজা এবং জল খাওয়ানো হয়। তাতেই তিনি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। এরপরই চলে অত্যাচার। ধর্ষণে বাধা দিলে তাকে মারধরও করা হয় বলে, বলে অভিযোগ। তার দাবি, জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখেন যে তিনি বয়েজ হস্টেলে পড়ে আছেন। এরপর গতকাল হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ইতিমধ্যেই ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে তরুণীর বাবার বয়ানকে কেন্দ্র করে জোর চৰ্চা শুরু হয়েছে।