বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে ইরানের পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটিতে। তার পরপরই সব দূতাবাস বন্ধ করে আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ফোন করা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও (Narendra Modi)। এই ফোনকলের তাৎপর্য আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গভীর।
মোদীকে (Narendra Modi) ফোন, শান্তির বার্তা ভারতের
নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নিজেই জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) সঙ্গে ফোনালাপে তিনি শান্তি ও স্থিতাবস্থার পক্ষে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদী (Narendra Modi) লেখেন, “আমি দ্রুত শান্তি ফেরানোর প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছি।” একই সঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (External Affairs Ministry) বিবৃতি দিয়ে জানায়, তারা এই সংঘাত ঘিরে উদ্বিগ্ন এবং উসকানিমূলক কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে দুই দেশকে।
পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা, জবাবের আশঙ্কা
ইজরায়েল বৃহস্পতিবার ইরানের পরমাণু কেন্দ্র (Nuclear Facility), ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই হামলার জবাব দিতে পারে ইরান। আর সেই কারণেই ইজরায়েল বিশ্বজুড়ে তাদের দূতাবাস (Embassies) সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিচ্ছে। আশঙ্কা, এসব কূটনৈতিক কেন্দ্র হামলার লক্ষ্য হতে পারে।
আন্তর্জাতিক মহলের দিকে তাকিয়ে নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)
পরিস্থিতি যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই আন্তর্জাতিক সমর্থনের খোঁজে সক্রিয় হচ্ছেন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। মোদীর (Narendra Modi) পাশাপাশি তিনি ফোন করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাকরঁ-কে। তবে এখনো পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। যদিও ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “আমেরিকার তৈরি অস্ত্র এখন ইজরায়েলের হাতে। ইরানকে এখনই চুক্তির পথে আসতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ ৪৭টি ভুল প্রশ্ন! TET-এ চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলায় কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট
যুদ্ধের মুখে কূটনৈতিক রণনীতি
বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের আবহ, আর তার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) ফোন করে বার্তা দিতে চাইল ইজরায়েল। আন্তর্জাতিক মহলে এই বার্তা ঠিক কী ইঙ্গিত দিচ্ছে, এখন সেটাই দেখার।