বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভাঙড়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা রেজ্জাক খাঁ খুনের ঘটনায় অবশেষে বড় সাফল্য পুলিশের হাতে। গ্রেফতার করা হয়েছে এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা মোফাজ্জেল মোল্লাকে (Mofazzel Molla)। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। একসময় যাঁরা একই দলের ছিলেন, তাঁদের মধ্যেই যে এমন রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, তা নিয়েই এখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রাজনৈতিক দখলদারিতেই রক্তাক্ত সংঘর্ষ
পুলিশ সূত্রে খবর, রেজ্জাক খাঁ-র (Rezzak Khan) রাজনৈতিক উত্থান মেনে নিতে পারেননি মোফাজ্জেল। বিজয়গঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতির দায়িত্ব রেজ্জাককে দেওয়ায় আরও রাগে ফেটে পড়েন তিনি। তার জেরেই এলাকায় আধিপত্য কায়েম করতে লোক ভাড়া করে গুলি চালানোর ছক কষেন বলে স্বীকার করেছে ধৃত।
মোফাজ্জেলের গ্রেফতারের পরেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। কারণ, এতদিন আইএসএফ-এর (ISF) দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছিল শাসকদল। কিন্তু এখন ধরা পড়েছেন নিজেরাই দলের (Trinamool Congress) প্রভাবশালী নেতা। যদিও ভাঙড়ের বিধায়ক শওকত মোল্লা দাবি করেছেন, মোফাজ্জেল নাকি কোনও কমিটিতেই ছিলেন না। তিনি নেহাতই একজন “সাধারণ কর্মী”। তবে তাঁর সঙ্গে ছবি বেরোনো প্রসঙ্গে বলছেন, “হাজার লোক ছবি তোলে, তাতে কিছু বোঝা যায় না!”
আরও পড়ুনঃ ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ হবে? মোদীর সঙ্গে ফোনালাপে নেতানিয়াহুর বার্তা
তদন্তে নামল গোয়েন্দা ও স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ
এই মামলার তদন্তে এখন কাশীপুর থানার পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা ও স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চও (Special Branch) সক্রিয় হয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, আরও অনেক তথ্য পেতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এলাকাজুড়ে রাজনৈতিক রেষারেষির কারণেই যে রেজ্জাককে হত্যা করা হয়েছে, সে কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে মোফাজ্জেল।
একই দলের (Trinamool Congress) দুই নেতার সংঘাতে মৃত্যু! রাজনৈতিক দম্ভ, পদ হারানো আর হিংসার বিষে যে কী ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে—ভাঙড়ে রেজ্জাক খাঁর মৃত্যু তারই প্রমাণ। প্রশ্ন উঠছে, দল চুপ কেন?