বাংলা হান্ট ডেস্ক: শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) মহাকাশে কাটিয়ে ফেলেছেন দু’ সপ্তাহ।তাঁরা আপাতত রয়েছেন পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০৩ কিলোমিটার উপরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)। সেখানে বসে তাঁরা দেখেছেন প্রতিদিন ১৬ বার সূর্যোদয়। এমনকি দেখেছেন ২৩০ বার সূর্যোদয়। সেই বিবৃতি ইতি জারি করেছে অ্যাক্সিয়ম স্পেসের তরফ থেকে। এবার পৃথিবীতে ফেরার পালা তিন নভশ্চর সহ শুভাংশুর। কিন্তু পৃথিবীতে ফিরে সঙ্গে সঙ্গে নিজের বাড়িতে ফিরতে পারবে না শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)।
পৃথিবীতে ফিরেও মা’য়ের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)
ইতিমধ্যে মহাকাশে ইতিহাস লিখছে ছেলে। এবার ঘরে ফেরার পালা। সেই অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন শুভাংশু শুক্লার পরিবার। কিন্তু, ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার ঘরে ফিরতে দেরি হচ্ছে। সূত্রের খবর ১০ জুলাই পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা থাকলেও, তা হয়নি তাঁদের। বেড়েছে মহাকাশ সফরের সময়। এবার ইসরো জানাল, পৃথিবীতে ফিরেও সঙ্গে সঙ্গে ভারতে নিজের বাড়িতে আসতে পারবেন না শুভাংশু শুক্লা। কিন্তু কেন, জানেন?
নাসা ও ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৪ জুলাই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেবেন ভারতীয় মহাকাশচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা ও তিন নভশ্চর। সূত্রের খবর, ১৫ জুলাই তাঁরা ১৮ দিনের মিশন সেরে পৃথিবীতে ফিরবেন। এমনকি ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে আছড়ে পড়বে তাঁদের স্পেস ক্যাপসুল, যাকে ‘স্প্ল্যাশডাউন’ বলা হয়।
ইসরো তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, পৃথিবীতে ফিরে শুভাংশুকে ৭ দিনের জন্য রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। শুধুমাত্র যে শুভাংশুকে এই রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তাই নয়। তাঁর সঙ্গে তিন নভশ্চরকেও এক পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। তারপরেই তাঁরা দেখা করতে পারবেন নিজের পরিবারের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: ছুটির দিনে একলাফে বাড়ল সোনা ও রুপোর দাম, কলকাতায় আজ দুই ধাতুর দর কত হল?
প্রসঙ্গত, এই রিহ্যাবিলিটেশনের পিছনে রয়েছে বড় কারণ। এত দিন মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ শূন্য অবস্থায় ঘোরাফেরা করেছেন শুভাংশুরা। পৃথিবীতে ফিরে আবার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়া এবং হাঁটাচলা করতে ও ভারসাম্য ফেরানোর জন্যই এই বিশেষ প্রোগ্রাম। উল্লেখ্য, প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে গিয়েছিলেন রাকেশ শর্মা। রাকেশ শর্মার পর শুভাংশু প্রথম ভারতীয় যিনি মহাকাশে গেলেন। পাশাপাশি শুভাংশু শুক্লাকে স্পেস স্টেশনে পাঠাতে ইসরো ৫৫০ কোটি টাকা খরচ করেছেন।













