বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছরের শুরুতেই পড়শীদেশটিকে কড়া বার্তা পাঠালো নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সরকার। মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও পাকিস্তানের জেলে বন্দি থাকা মৎস্যজীবীদের ফেরত পাঠাতে বলল নয়া দিল্লি। সেই সাথে ভারতীয় সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ১২ জন বেসামরিক নাগরিকদেরকেও কনস্যুলারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতে বলা হয়েছে। সবে মিলিয়ে মোট ১৪৮ জন বন্দির মুক্তির দাবিতে কড়া বার্তা পাঠানো হয়েছে ইসলামাবাদে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নতুন বছরের শুরুতেই ভারতের তরফে ৮১ জন মৎস্যজীবী এবং ৩৩৭ জন বেসামরিক বন্দির তালিকা পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানে। এদের মধ্যে অনেককেই পাকিস্তানি বলে নিশ্চিত করেছে ভারত সরকার। একইভাবে পাকিস্তানের তরফেও তালিকা পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৪৪ জন মৎস্যজীবী ও ৪৭ জন বেসামরিক বন্দিকে ভারতীয় বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০০৮ সাল থেকেই বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি এবং ১ জুলাই ভারত ও পাকিস্তান তাদের দেশে বন্দিদের তালিকা বিনিময় করে থাকে। এই তালিকায় থাকে ঘটনাচক্রে বন্দি হওয়া মৎস্যজীবী এবং বেসামরিক নাগরিকদের নাম। সূত্রের খবর, গত ২০১৪ সাল থেকে লাগাতার কূটনীতিক প্রচেষ্টায় এরকম ২৬৩৯ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী ও ৬৭ জন বেসামরিক বন্দিকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে ভারত সরকার।
আরও পড়ুন : ISRO-র আগে রকেট পাঠিয়েছিল পাকিস্তান, ভারতের আগে থেকেও এই চার ভুলে ভেঙে যায় পড়শি দেশের স্বপ্ন
একইভাবে এবছরও বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনার লাগাতার চেষ্টা করে চলেছে ভারত সরকার। সদ্যই বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারত সরকারের তরফ থেকে বার্তা পাঠানো হয়েছে ইসলামাবাদে। বলা হয়েছে পাক হেফাজতে থাকা বেসামরিক বন্দি, নিখোঁজ ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মী ও মৎস্যজীবীদের তাদের নৌকা সহ দ্রুত ভারতে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন : নয়া বছরের শুরুতেই অ্যাকশন! শাসক দলের বিধায়কের ৫ জায়গায় হানা ED-র, তোলপাড় কাণ্ড
পাক সরকারের হেফাজতে থাকা ভারতীয় বন্দিদের পাশাপাশি ভারতে বন্দি থাকা মৎস্যজীবীদের বিষয়টিও মানবিকতার সাথে দেখছে নয়া দিল্লি। যে কারণে পাকিস্তানি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ৬৭ জন বন্দির নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য পড়শি দেশের কাছে আবেদন জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। কারণ যতক্ষন না তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হচ্ছে ততক্ষণ তাদের ফেরত পাঠানো যাচ্ছেনা।