উন্নত প্রযুক্তিই বাড়াচ্ছে চিন্তা! হাইকোর্টের কয়েক হাজার ল ক্লার্ক করছেন চাকরি হারানোর আশঙ্কা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি। যার সুফল প্রত্যক্ষভাবে পাচ্ছে মানুষ। যদিও, কখনও কখনও উন্নত প্রযুক্তিই আবার হয়ে ওঠে চিন্তার কারণ। এমনিতেই, সাম্প্রতিক কালের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence) জন্য চাকরি হারানোর ভয়ে শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। সেই রেশ এসে লাগল কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court)। হ্যাঁ, বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে গেলেও এবার প্রযুক্তির অভিশাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন আদালতের হাজার হাজার ল ক্লার্ক।

শুধু তাই নয়, কাজ হারানোর আশঙ্কাও করছেন তাঁরা। উল্লেখ্য যে, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিট্যাল ইন্ডিয়াকে আরও গতিশীল এবং করে তুলতে সবকিছুই অনলাইনে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। যার জেরে ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে শুরু করে কেনাকাটা পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাড়ছে অনলাইন মাধ্যমের ব্যবহার। সেই তালিকায় রয়েছে আদালতও। আর সেই কারণেই চিন্তা বাড়ছে ল ক্লার্কদের মধ্যে।

Thousands of law clerks of the Calcutta High Court are afraid of losing their jobs
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নিয়মিত কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া হাজার হাজার মামলাকে তালিকাভুক্ত করার পেপার ওয়ার্ক করেন আইনজীবীদের ক্লার্করা। এর পাশাপাশি কার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে এবং ওই মামলায় কারা কারা থাকবেন, পাশাপাশি, তাঁদের মামলার কপি পাঠানো সবটাই করতে হয় তাঁদের। যদিও, এখন অনলাইনে সব নথি দ্রুত মিলছে। ফলে, তাঁদের চাহিদা ক্রমেই কমছে।

আরও পড়ুন: মাত্র ১০০ টাকায় করা যাবে বিনিয়োগ! টাটা গ্রুপ সামনে আনল দুর্দান্ত স্কিম, এভাবে হবেন লাভবান

এই প্রসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, “ক্রমশ আদালত যেভাবে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে, তাতে আগামীদিনে আমাদের ক’জনের কাজ থাকবে, সেটাই এখন ভাবিয়ে তুলছে।” পাশাপাশি, একজন জানিয়েছেন, “আগে মামলা লড়ার আগে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে তা আইনজীবীর হাতে তুলে দিতে হত। কিন্তু, এখন মোবাইলেই আইনজীবীরা সব পেয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে আমাদের কাজ ক্রমেই কমছে। প্রযুক্তি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আগামীদিনে আমাদের আর কোনো কাজ থাকবে না।”

আরও পড়ুন: করেছেন MBA, ছেড়েছেন কর্পোরেট চাকরি! রামলালার মূর্তি বানানো যোগীরাজের পরিচয় জেনে গর্ব হবে

পাশাপাশি, আগে আইনজীবীদের হাতে একটা মোটা বই থাকত। ওই বই থেকেই মামলকারী থেকে শুরু করে আইনজীবীরা জানতে পেরে যেতেন যে কোন বিচারপতির এজলাসে কখন তাঁদের মামলার শুনানি আছে। আর এই জন্য ল ক্লার্করা প্রতিদিন ও মাসিক তালিকা প্রকাশ করতেন। যেটি ১০ টাকার বিনিময়ে আইনজীবী থেকে শুরু করে মামলাকারী প্রত্যেককেই কিনতে হত। কিন্তু, এখন সবই অনলাইনে উপলব্ধ থাকায় প্রয়োজন ফুরিয়েছে ওই বইয়েরও। এমতাবস্থায়, প্রযুক্তির উন্নতির জেরে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর