বাংলা হান্ট ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak) সেখানে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ প্রবাসীকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন। মূলত, ব্রিটেনে (Britain) গত ১ জানুয়ারি থেকে ভিসা সংক্রান্ত নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে। এমতাবস্থায়, সুনাক এক্স মাধ্যমে ঘোষণা করেছেন যে, ওইদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অধিকাংশ বিদেশী শিক্ষার্থীরা তাঁদের পরিবারকে ব্রিটেনে আনতে পারবেন না।
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা ওই দেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়াদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে চলেছে। কারণ, ভারতীয় পড়ুয়ারাই সবথেকে বেশি সংখ্যায় সেখানে পড়াশোনা করতে যান। এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে যে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার নিয়ে আসার বিষয়টি একটি “অনুচিত প্রথা”।
উল্লেখ্য যে, ব্রিটেনে পড়াশোনা করা বিদেশি পড়ুয়াদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাই সবথেকে বেশি। এই কারণেই এহেন বড় সিদ্ধান্ত ভারতীয়দের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে চলেছে। সোমবার এই পদক্ষেপের ঘোষণা করে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে হাজার হাজার অভিবাসন বন্ধ হবে। তিনি বলেন, “এই সরকার ব্রিটেনের জনগণের কাছে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে। যেখানে আমাদের সরকার অভিবাসন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।”
আরও পড়ুন: শুধুমাত্র ইন্টারভিউ দিয়েই বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরির সুযোগ! জারি হল বিজ্ঞপ্তি, এভাবে করুন আবেদন
ব্রিটেনের পরিকল্পনা কী: ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা অভিবাসনের সংখ্যা দ্রুত কমাতে, আমাদের সীমানা নিয়ন্ত্রণ এবং অভিবাসন নিয়ম উপেক্ষা করার চেষ্টা কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এটি সারা বছর চলবে। আজ এই পরিকল্পনার একটি বড় অংশ কার্যকর হয়েছে। যার অধীনে বিদেশি পড়ুয়াদের তাঁদের পরিবারকে ব্রিটেনে আনার অনুচিত প্রথার অবসান হতে চলেছে। এতে অভিবাসনের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ কমে যাবে। এটি আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ লক্ষ মানুষের ব্রিটেনে আসা বন্ধ করতে সাহায্য করবে।”
আরও পড়ুন: চিনের জন্য আরও একটি দুঃসংবাদ! প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে, নতুন বছরে সামনে এল বড় তথ্য
এদিকে সুনক জানিয়েছেন, “২০২৪ সালে আমরা ব্রিটেনের মানুষের জন্য কাজ শুরু করেছি।” উল্লেখ্য যে, আগামী বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন ঋষি সুনক। এদিকে, এই প্রস্তাবটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান প্রথম উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, “এই ধরণের অভিবাসীরা পড়ুয়াদের মাধ্যমে আসেন এবং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে কোনো অবদান রাখেন না।” উল্লেখ্য যে, ভারতীয়রা ব্রিটেনে সর্বাধিক সংখ্যায় স্টাডি ভিসা পান।