বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এপ্রিল মাস থেকে এসএসসি (SSC Recruitment Case) ইস্যুতে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। আন্দোলন-বিক্ষোভ থেকে মামলা, পাল্টা মামলা, কিছুই বাদ নেই। সবমিলিয়ে জট খোলার নাম নেই, ক্রমশ বাড়ছে জটিলতা। একদিন আগেই ১৪ জুলাই থেকে ৭ দিন বাড়িয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন আবেদনের শেষ দিন করেছে ২১ জুলাই। ২১ তারিখ পর্যন্ত পোর্টালের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে বলে জানানো হয়। তবে অভিযোগ, বাড়তি সুযোগেও স্পেশাল বি.এড ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের জায়গা হয়নি। এরই প্রতিবাদে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ একাধিক চাকরিপ্রার্থী।
কেন বঞ্চনা? প্রশ্ন উঠল হাইকোর্টে | Calcutta High Court
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমার-এর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তারা অংশ নিয়েছিলেন। কমিশনের তৎকালীন নিয়ম অনুযায়ী স্পেশাল বি.এড যোগ্যতা অনুমোদিত ছিল বলে জানান তারা। কিন্তু তাদের অভিযোগ, এবারে সময়সীমা বাড়ানো হলেও স্পেশাল বি.এড ডিগ্রিধারীদের আবেদনগ্রহণের বিষয়টি বাদ রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পরীক্ষায় বসেছিলেন এমন বহু চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বহুজনের স্পেশাল বি.এড যোগ্যতা রয়েছে। তবে তাদের আবেদন করার সুযোগ দেয়নি কমিশন। সেই নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি, ‘সরকার বারবার সময়সীমা বাড়াচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেটা কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য।’ তাদের প্রশ্ন, তারা তখন পরীক্ষা দিলে বর্তমানে কেন বঞ্চিত হবেন?
দুর্নীতির জেরে চাকরি গিয়েছিল ২৬০০০-এর
উল্লেখ্য, এসএসসি ২০১৬ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশ মেনে নয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। সেই মত গত ১৬ জুন থেকে এসএসসি পোর্টালের মাধ্যমে নিয়োগের আবেদন নেওয়া শুরু হয়। কমিশন জানিয়েছে ২১ তারিখ পর্যন্ত পোর্টালের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, নিয়োগে দুর্নীতির জেরে গত বছর ২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর সেই চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তবে গত এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। যার জেরে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের চাকরি গিয়েছে।
চাকরি বাতিলের পাশাপাশি এসএসসি-কে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এসএসসি-কে। সেই মতো এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে সেই নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে খবর। এরই মধ্যে নতুন করে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।