বিদেশের মাটিতে সফলতার শিখরে বাঙালি স্থপতি! মার্কিন মুলুকে দৃষ্টান্ত গড়লেন উত্তর কলকাতার সৃঞ্জয়

Published on:

Published on:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শহর কলকাতায় সফর শুরু করে আন্তর্জাতিক স্তরে সফলতার নজির গড়ার ক্ষেত্রে কৃতী বাঙালিদের তালিকা যথেষ্ট বড়। শুধু তাই নয়, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এবং যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে ওই তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। এবার সেই তালিকাতেই নাম জুড়ল কলকাতার কৃতী স্থপতি সৃঞ্জয় হাজরার। মূলত, উত্তর কলকাতায় বেড়ে ওঠা সৃঞ্জয় এখন তাঁর দাপট দেখাচ্ছেন মার্কিন মুলুকে (United States)। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইতিমধ্যেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা এবং চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

মার্কিন মুলুকে (United States) সফলতার শিখরে উত্তর কলকাতার সৃঞ্জয়:

তাঁর এই বিরাট সফরের বীজ রোপিত হয়েছিল উত্তর কলকাতা থেকেই। সেখানেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। উত্তর কলকাতার প্রাচীন ভবনের ঐতিহ্য যথেষ্ট আকৃষ্ট করত তাঁকে। সময়ের সাথে সাথে সেই আকর্ষণকেই সঙ্গী করে সৃঞ্জয় তাঁর লক্ষ্য স্থির করে ফেলেন। প্রথমে শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (পূর্বে B.E. কলেজ) থেকে স্থাপত্যে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন পিটসবার্গের কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

Srinjoy Hazra architect success story United States.

সৃঞ্জয় গত ৩ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের (United States) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অত্যন্ত দক্ষতায় কাজ করেছেন। যার মধ্যে সামিল রয়েছে জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিও। সবথেকে চমকপ্রদ বিষয় হল, সৃঞ্জয়ের নেতৃত্বে একটি উদ্ভাবনী GIS (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেমবেসড ডিজিটাল টুইন তৈরি হয়েছে। যেটি সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পাসের “লিভিং প্ল্যান” তথা “জীবন্ত পরিকল্পনা” হিসেবে কাজ করে।

আরও পড়ুন: “প্রতিবেশী দেশ হিসেবে…”, গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রথম চিন সফরে বিশেষ বার্তা দিলেন জয়শঙ্কর

মূলত, এই প্ল্যানিং টুল ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ রূপায়ণের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদানে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। ইতিমধ্যেই এই উদ্ভাবন সোসাইটি ফর কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি প্ল্যানিংয়ের কাজ থেকে জাতীয় স্বীকৃতি হিসেবে প্ল্যানিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। যদিও, কেবল ক্যাম্পাস পরিকল্পনার মধ্যেই সৃঞ্জয়ের কাজ সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং, ইতিমধ্যেই তিনি শিকাগোর উডিলন এলাকায় ওবামা প্রেসিডেন্সিয়াল সেন্টারের নিকটে ২০ একর জায়গা জুড়ে ন্যায়সঙ্গত মিশ্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে নগরাঞ্চল পরিকল্পনা করছেন।

আরও পড়ুন: PSG-র স্বপ্ন ভেঙে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতল চেলসি! ট্রফি দিতে গিয়ে পোডিয়ামে ট্রাম্প যা করলেন…

এছাড়াও, তাঁর বৃহৎ কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইতিমধ্যেই শামিল হয়েছে থিওডোর রুজভেল্ট প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরির জন্য গ্রিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফ্রেম ওয়ার্ক সবুজ পরিকাঠামো পরিকল্পনাও। এর পাশাপাশি তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার একাধিক টেক ফার্মের সাথেও কাজ করেছেন। আর এইভাবেই বিদেশের মাটিতে (United States) সৃঞ্জয়ের মাধ্যমেই যুগোপযোগী টেকসই নগর পরিকল্পনার নয়া দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।