বাংলাহান্ট ডেস্ক : টেট দুর্নীতির তদন্তে নেমে উঠে এল নয়া তথ্য। প্রথম থেকেই আদালতের প্রশ্ন ছিল ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উত্তরপত্র কোথায় গেল? আদালতের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায় জায়গার অভাবে সেই উত্তরপত্র অর্থাৎ ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
তবে সিবিআই মঙ্গলবার আদালতকে জানাল, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলা হয়নি। কেজি দরে বালেশ্বরের একটি কাগজ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে বিক্রি করা হয়েছে ওএমআর শিট। এই উত্তরপত্র বিক্রি করার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল প্রমাণ নষ্ট করা। এই সংস্থা জানিয়েছে, ২০০ কুইন্টালের বেশি ওএমআর শিট তারা নষ্ট করেছে ২০১৮ সালে।
আরোও পড়ুন : সাবধান! ভুলেও মোবাইলে রাখবেন না এই অ্যাপসগুলো, এক্কেবারে শেষ হয়ে যেতে পারে সব টাকা
নতুন কাগজ তৈরি করা হয়েছে তা দিয়ে। এদিন আদালতে টেট দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই এর পক্ষ থেকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করা হয়েছে। টেট পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে যে সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, অর্থাৎ এস বসু রায় এন্ড কোম্পানি একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্ম।
আরোও পড়ুন : গ্রাহকরা টানা ছয় মাস পাবেন ডিসকাউন্ট! Airtel’র এই অফারে এবার কুপোকাত Jio
এই কোম্পানিটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্ম হিসেবেই ২০২২ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত ছিল। ওএমআর শিট তৈরি, পরীক্ষা নেওয়া এবং মূল্যায়ন এই সংস্থার মাধ্যমেই করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আদালতে মঙ্গলবার সিবিআই এর দাবি, এই কোম্পানিকে সামনে রেখেই চলছিল নিয়োগ দুর্নীতি। এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত পর্ষদের একশ্রেণীর কর্মীরা। এমন ভাবে পরিকল্পনা সাজানো হয় যাতে বোঝা না যায় যে কোনটি কার OMR শিট।
নথি পেশ করে আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি করেছে বেআইনিভাবে নষ্ট করা হয়েছে পরীক্ষার নথি। এছাড়াও আদালতে সিবিআই এর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট হিসেবে মহিদুল আনসারি, জফিকুল ইসলাম, সজল কর, দেবরাজ চক্রবর্তী, বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এবং সৌরভ ঘোষ কাজ করেছিলেন। এদের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ নথি উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।