বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ এ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে শুরু। তারপর নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে একে একে গ্রেফতার হয়েছেন বহুজনা। নিত্যদিন কেলেঙ্কারির তালিকায় জুড়ছে নতুন নাম। আর এদিকে মাসের পর মাস বছরের পর বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট উভয় আদালতের তরফেই দ্রুত প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করার জন্য ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ (Justice Amrita Sinha)। তবে মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি ইডি আদালতে জানিয়েছে তদন্তে অনেক নয়া তথ্য উঠে এসেছে তাই আরও সময় দরকার। এর পরেই ইডির (ED) জয়েন্ট ডিরেক্টরকে বুধবার আদালতে আসতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। পাশাপাশি এই একই মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর (Sujay Krishna Bhadra,Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়েও ইডিকে তৎপর হতে বললেন বিচারপতি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গত বছর গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তবে বহু সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা কাকুর কণ্ঠস্বর! গতকাল দ্রুত এ নিয়ে চিকিৎসকের মতামত জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে জানিয়েছেন কী ভাবে গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে হয় তা আদালতে এসে জানাতে হবে কোনও চিকিৎসককে।
বিচারপতির নির্দেশ, জোকার ইএসআই হাসপাতালকে এই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের টিম গড়তে হবে। সেই টিমের প্রধানকে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টেয় এসে আদালতকে নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি জানাতে হবে। প্রসঙ্গত, ‘অসুস্থ’ হয়ে বহুমাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। আগেই রাজ্যের এই প্রথম সারির সরকারি হাসপাতাল নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিল ইডি।
আরও পড়ুন: শীতের তুফানি কামব্যাক! এবার হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পাশাপাশি তুমুল বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে: আবহাওয়ার খবর
আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছিল হাসপাতালের উপর তাদের বিশ্বাস নেই। হাসপাতালের সুপার পীযূষকুমার রায়ের বিরুদ্ধেও হাইকোর্টে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে ইডি। ইডির অভিযোগের ভিত্তিতেই আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘কাকু’র চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এরই মধ্যে এই ইস্যুতেই মঙ্গলবার ‘কাকু’র বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ গুরুতর অসুস্থ না হয়েও এসএসকেএম এর মত সরকারি হাসপাতালে শয্যা দখল করে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মামলায় সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এরই মধ্যে নতুন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সিনহা।