বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত নভেম্বর মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) একজোটে একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআই (CBI)। সেই তালিকায় নাম ছিল তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীরও (Debraj Chakraborty)। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। আর এ বার কলকাতা হাই কোর্টে পেশ করা সিবিআই এর রিপোর্টেও দুই তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী এবং বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের নাম।
মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তাদের হাতে আরও বহু নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তাই তদন্তে সময় প্রয়োজন। ওদিকে বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই রিপোর্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর দাবি, দুই তৃণমূল নেতা দেবরাজ ও বাপ্পাদিত্যর যোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে।
সিবিআই এর রিপোর্টে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন এই রকম বেশ কিছুজনের হদিস মিলেছে। যার মধ্যে মহিদুল আনসারি, জফিকুল ইসলাম, সজল কর এবং সৌরভ ঘোষ এদের নাম সামনে এসেছে। এদের ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে অনেক নথি মিলেছে। সেই সবের সূত্র ধরে চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন: রাজ্যের কত পুরসভায় কতজনের টাকার বিনিময়ে চাকরি? এই প্রথম সংখ্যা জানাল CBI, ‘থ’ বিচারপতি
গত বছর নভেম্বর মাসে দেবরাজের বাড়িতে প্রথম হানা দিয়েছিল সিবিআই। ওদিকে দেবরাজের আরেক পরিচয় তার স্ত্রী গায়িকা অদিতি মুন্সি তৃণমূলের বিধায়ক। তাদের বাড়ির পাশাপাশি অদিতির গানের স্কুলেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। টানা তল্লাশির পর সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, সেখান থেকে টেটের কয়েকটি মার্কশিট এবং বদলির আবেদনপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ওদিকে সেই একই সময়ের পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councillor) বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকও। এই তৃণমূল নেতা চাকরি বিক্রির ‘এজেন্ট’ বলে দাবি করে সিবিআই।