বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর (Sujay Krishna Bhadra,Kalighater Kaku) শারীরিক অবস্থা কিরম? বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) ‘মেডিক্যাল রিপোর্ট’ পেশ করেছে এসএসকেএম (SSKM) কর্তৃপক্ষ। সেই রিপোর্টে কাকুর একাধিক অসুস্থতার দিক কথা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে এ কথা।
আদালতে রিপোর্ট জমা করে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হৃদ্যন্ত্রে পেসমেকার বসেছে সুজয়বাবুর। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও হয়েছে। কখনও কখনও হৃদ্স্পন্দনে ছন্দপতনও ঘটছে। তবে ওষুধের মাধ্যমে সেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে। এসএসকেএম হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের তরফে সুজয়কৃষ্ণের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণর ডায়াবিটিস রয়েছে। তবে রক্তচাপ এবং নাড়ির স্পন্দন অনেকটাই স্বাভাবিক। সব রকম সমস্যা থেকে সুজয়কৃষ্ণকে সুস্থ রাখার জন্য দিনে ৮ রকমের ট্যাবলেট খেতে হয় সুজয়কৃষ্ণকে।
‘কাকু’কে রক্তের ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য ক্লোপিডোজ়েল, লিপিডের হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যাট্রোভ্যাস্টাটিন, হৃদ্যন্ত্রের গতি ঠিক রাখার জন্য মেটোপ্রোলোল সাক্সিনেট সুগার এবং অন্য কিছু সমস্যা ভোগলিবোস, লিনাগ্লিপ্টিন, ডাপাগ্লিফোজ়িনের, অ্যাসপিরিন পেইন কিলার প্যান্টোপ্রাজ়োল দিতে হয়।
আরও পড়ুন: ‘আসছি আমি বলাগড়ে, এবার খেলা…’, তৃণমূল নেত্রীকে ফালাফালা আক্রমণ MLA মনোরঞ্জনের
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গত বছর গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তারপর থেকে অবশ্য জেলে কম, হাসপাতালে বেশি দিন কেটেছে কাকুর। বুধবার টানাপোড়েনের পর রাতে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বের করা হয় কালীঘাটের কাকুকে। জোর তৎপরতার সাথে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। রাত ১২.৫২ মিনিটে চিকিৎসক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। এরপর রাত ৩টে ২০ নাগাদ সুজয়কৃষ্ণকে ফের ইএসআই হাসপাতাল থেকে এসএসকেএমে ফিরিয়ে আনা হয়।