বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) নির্দেশের পরই ‘অসাধ্য সাধন’। বুধবার বহু টানাপোড়েনের পর রাতে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বের করা হয় কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku)। জোর তৎপরতার সাথে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। রাত ১২.৫২ মিনিটে চিকিৎসক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। এরপর রাত ৩টে ২০ নাগাদ সুজয়কৃষ্ণকে ফের ইএসআই হাসপাতাল থেকে এসএসকেএমে ফিরিয়ে আনা হয়। আর নিজের পুরোনো জায়গাতে ফিরতেই স্বমহিমায় সুজয়কৃষ্ণ।
এবার আইনি লড়াইয়ে ‘অসুস্থ’ ‘কালীঘাটের কাকু’। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। জানা যাচ্ছে বিচারপতি সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে
বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কালীঘাটের কাকু।
কালীঘাটের কাকু’র আইনজীবীর দাবি, বুধবার যে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা, তার মক্কেলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই মামলায় পার্টিই নন তার মক্কেল। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত বিচারপতি সিনহার নির্দেশনামাও হাতে পাননি বলে দাবি করা হয়। প্রশ্ন তুলে কাকুর আইনজীবী বলেন, নির্দেশনামা হাতে না পেলে কীভাবে তা চ্যালেঞ্জ করা হবে?
আরও পড়ুন: ‘আসছি আমি বলাগড়ে, এবার খেলা…’, তৃণমূল নেত্রীকে ফালাফালা আক্রমণ MLA মনোরঞ্জনের
এর প্রেক্ষিতে সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবীকে বিচারপতি সিনহার এজলাসে গিয়ে নির্দেশনামার কপির জন্য আবেদন জানানোর পরামর্শ দেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujoy Krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে জোকার ইএসআই হাসপাতালকে বিশেষজ্ঞদের টিম গড়তে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
বুধবার আদালতের নির্দেশ মত সেই টিমের প্রধান বিচারপতির এজলাসে হাজির হয়ে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি জানানোর কথা বলেন। এরপরই গভীর রাতে জোকায় নিয়ে গিয়ে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ডিভিশন বেঞ্চে সুজয়বাবু।