বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি নিয়ে মামলা চলছে অনেক দিন। দীর্ঘদিনেও নিষ্পত্তি না হওয়ায় হতাশ অনেক চাকরিপ্রার্থী। সেই হতাশা থেকেই কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) চত্বরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অভিযোগ, সে সময় বিচারপতির ছবির উপর পা দিয়ে প্রতিবাদ করেন কেউ কেউ। এই ঘটনা ঘিরেই শুরু হয় আদালত অবমাননার (contempt of court) মামলা।
আদালত (Calcutta High Court) বলল, এটা কি হতাশা, না অসম্মান?
বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চে ওঠে এই মামলার শুনানি। বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন, ‘‘বিচারপতির ছবি কারা এনেছিল? ছবি কি রাস্তায় পড়ে ছিল? পা দিয়ে মাড়ানো কি হতাশা দেখানোর পথ?’’ বিচারপতিরা আরও বলেন, “বিচারব্যবস্থাকে সম্মান না করলে, এমন ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না।”
নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেও রেহাই নয়
চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বলেন, দীর্ঘদিন মামলা ঝুলে থাকার জন্য তাঁরা হতাশ। কিন্তু উদ্দেশ্য ছিল না বিচারপতিকে অসম্মান করা। তবু, আদালতের কাছে তাঁরা নিঃশর্ত ক্ষমা চান। আদালতের সামনে দুঃখপ্রকাশ করেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী জানান, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না, অনিচ্ছাকৃতভাবে রাস্তায় পড়ে যায় রায়ের কপি। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হয়নি হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, “ক্ষমা চাইলেই সব মাফ হয় না। আদালতের মর্যাদা রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। এখানে বিচারপতির বিরুদ্ধে এই রকম আচরণ আদালত অবমাননার সীমানায় পড়ে যেতে পারে।”
কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বিরুদ্ধেও অভিযোগ
এই ঘটনায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বিরুদ্ধেও উস্কানির অভিযোগ উঠেছে। তাঁর পক্ষে আদালতে (Calcutta High Court) সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তিনি বলেন, “বিচারপতির ছবি এখন রিকশাতেও দেখা যায়। এক বিচারপতি নিজেই তো রাজনীতিতে গিয়েছেন।”
আরও পড়ুনঃ ‘বিজ্ঞপ্তি দিন, বাকিটা কোর্ট দেখে নেবে’, ছাত্র ভোট নিয়ে রাজ্যকে কড়া বার্তা হাইকোর্টের
এদিন বিচারপতি মান্থা বলেন, “আন্দোলন করার অধিকার অবশ্যই আছে, কিন্তু সেই অধিকার আদালতের রায় বা বিচারপতির সম্মানহানির করে হতে পারে না। এটা যদি চলতে থাকে, তা হলে বিচারব্যবস্থাই বিপন্ন হয়ে পড়বে।” আদালত সব পক্ষের বক্তব্য শুনে জানিয়ে দেয়, পরবর্তী শুনানি হবে ৬ অগস্ট।