বাংলা হান্ট ডেস্ক: অনুরাগীদের জন্য এবার বিরাট চমক উপস্থাপিত করল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। মূলত, লাল হলুদ শিবির একই দিনে ৩ জন বিদেশি ফুটবলারের সই করার কথা জানিয়েছে। যাঁদের মধ্যে মেসির দেশের ফুটবলারও সামিল রয়েছেন। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আর্জেন্টিনার ফুটবলার কেভিন সিবিলে থেকে শুরু করে প্যালেস্তাইনের মহম্মদ রশিদ এবং ব্রাজিলের মিগুয়েল ফিগুয়েরা যুক্ত হয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে।
ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) যোগ দিলেন এই ৩ বিদেশি ফুটবলার:
এই ৩ ফুটবলারের মধ্যে রশিদ গত বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন। বাকিরাও দ্রুত লাল-হলুদ শিবিরে (East Bengal) উপস্থিত হবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, মিগুয়েল ৮ নম্বর জার্সি, কেভিন ৬ নম্বর এবং রশিদ ৭৪ নম্বর জার্সি পরে খেলবেন। এদিকে, ইস্টবেঙ্গলের মতো ঐতিহ্যশালী ক্লাবে যোগ দিতে পেরে ওই ৩ ফুটবলারই অত্যন্ত খুশি এবং গর্বিত হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কেভিন সিবিলে রিভারপ্লেট অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছেন। তিনি ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) যোগ দিচ্ছেন স্পেনের ক্লাব এসডি পনফেরাদিনা থেকে। এর আগে তিনি অ্যাটলেটিকো বালেয়ারেস সহ সিডি কাস্তেলনের মতো ক্লাবে খেলেছেন।
আরও পড়ুন: ৩ সেপ্টেম্বরে বড় চমক! লঞ্চ হবে Maruti Suzuki-র প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি, রেঞ্জ ৫০০ কিমি, দাম কত?
অপরদিকে, মিগুয়েল ফিগুয়েরা রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসাবেই সমধিক পরিচিত। তিনি ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) বর্তমান কোচ অস্কার ব্রুজ়োর অধীনে বসুন্ধরা কিংসে খেলেছেন। ব্রাজিলের দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব গোইয়াস ইসি থেকে তিনি বসুন্ধরায় আসেন। সেখান থেকেই এবার মিগুয়েল খেলবেন ইস্টবেঙ্গলে। এদিকে, রশিদ খেলেন প্যালেস্তাইনের জাতীয় দলে হয়ে। তিনি আক্রমণ এবং রক্ষণ উভয়ক্ষেত্রেই খেলার পক্ষে স্বচ্ছন্দ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত বছর এশিয়ান কাপের শেষ ষোলোয় প্যালেস্তাইনকে তোলার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। মহম্মদ রশিদ ইন্দোনেশিয়ার ক্লাব পার্সেবায়া সুরাবায়া থেকে যোগ দিলেন ইস্টবেঙ্গলে।
আরও পড়ুন: ২৩.৭৫ কোটির ভেঙ্কটেশকে আর দেখা যাবে না KKR-এ? কোন দলে নেবেন “এন্ট্রি”? মিলল আপডেট
এদিকে, একইসঙ্গে ৩ বিদেশি ফুটবলারের যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) কোচ ব্রুজো জানিয়েছেন, “মিগুয়েলের আক্রমণভাগে খেলা বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে ও ফুটবলজীবনের সেরা ফর্মে রয়েছে। এছাড়াও, দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করার ক্ষেত্রেও তার জুড়ি মেলা ভার।” রশিদের প্রসঙ্গে তিনি জানান, “ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসাবে রশিদ খেলে। সে বিপক্ষ দলের কাছ থেকে বল কেড়ে নিতেও ওস্তাদ। এছাড়াও, কৌশলের দিক থেকে বাকিদের টেক্কা দেওয়ার পাশাপাশি ওর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে। কেভিনের প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কোচ জানান, “কেভিন শুধু একজন সেন্টার ব্যাকই নয়, বরং আক্রমণ তৈরি করতেও সে সাহায্য করে। ওর বল কেড়ে নেওয়ার দক্ষতাও।” অর্থাৎ, এই ৩ বিদেশি ফুটবলার সম্মিলিতভাবে লাল হলুদ শিবিরের শক্তি যে অনেকটাই বৃদ্ধি করেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।