বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলেজে ফিরছে ছাত্র সংসদ ভোট! কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাজ্যে ছাত্রভোটের আবহ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘর গোছাতে নেমে পড়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (Trinamool Congress)। কসবা কাণ্ডে বিতর্কিত নেতা-নেত্রীদের সরিয়ে কলেজ ইউনিট গঠনে নয়া কৌশল নিচ্ছে তারা। দলের শীর্ষ নেতৃত্বও পুরো প্রক্রিয়ার নজরদারিতে রয়েছেন।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে ছাত্রভোট নিয়ে তাদের অবস্থান জানাতে হবে। এরপর থেকেই গতি পেয়েছে প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (Trinamool Congress) কাছে জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট তলব করেছেন দলনেতারা। আগামী ২৮ আগস্ট TMCP-র (Trinamool Congress) প্রতিষ্ঠা দিবসের আগেই রাজ্যের সমস্ত কলেজে নতুন ইউনিট গঠনের কাজ শেষ করতে চাইছে সংগঠন। বিতর্ক এড়াতে এবার তৃতীয় বর্ষ নয়, সভাপতি হিসেবে প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। ছাত্রীদেরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বিতর্কিত নেতা বাদ, আসরে নতুন মুখ
কসবা আইন কলেজে মনোজিত-বিতর্কের পর ছাত্র সংগঠনের ভাবমূর্তি ঘিরে দল অস্বস্তিতে। তাই ওই কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে সংগঠন ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের ছাত্র রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্যামাক স্ট্রিটে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে গিয়েছে স্টেটাস রিপোর্ট। জেলার বিভিন্ন কলেজে ইতিমধ্যেই পর্যবেক্ষক নিয়োগ শুরু হয়েছে।
TMCP-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান, “আমি খুশি যে অবশেষে ছাত্র রাজনীতির সংস্কৃতি ফিরছে। আমরা সব সময় বলি, ইউনিয়ন রুম নয়, ছাত্রছাত্রীদের পাশে রাজনীতি করতে হবে।” অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “এটা লোক দেখানো ভোট। এতদিন অবৈধ দখল চলত, এবার সেটা বৈধ করার চেষ্টা হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ ‘বিচারপতির রায় মানতেই হবে এমন তো নয়’ ২১ জুলাইয়ের আগে বিতর্কের ঝড় তুললেন বিমান
২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজে শেষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্সিতে, ২০২০-তে যাদবপুরে হয় ভোট। তারপর থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছরে কোনও ছাত্রভোট হয়নি। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বদলাতে চলেছে বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল। আর সেই পথেই এগোচ্ছে TMCP (Trinamool Congress)।