নাবালিকার গর্ভেই লুকিয়ে ছিল প্রমাণ, DNA রিপোর্টে ধরা পড়ল ধর্ষক

Published on:

Published on:

POCSO FIR in Rape Allegation

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক বছর ধরে অত্যাচার চলেছিল নাবালিকার উপর। ভয় দেখিয়ে, ভিডিও করে, ব্ল্যাকমেল করে বারবার ধর্ষণ (Rape)। শেষমেশ সেই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অভিযোগ দায়েরের পরে শুরু হয় তদন্ত। জলপাইগুড়ির পকসো আদালতে উঠে আসে সমস্ত সত্য। শুক্রবার দুই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এক জনকে ২৫ বছরের ও অন্য জনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন বিচারক রিন্টু সুর।

ভিডিও করে ধর্ষণ (Rape), তারপর ব্ল্যাকমেল

২০২২ সালের জুনে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল ১৬ বছরের নাবালিকা। সেখানেই অমিত ওরফে শদ্রু লোহার তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ (Rape) করে এবং সেই সময়ের একটি ধর্ষণের ভিডিও (Rape video) তৈরি করে। পরে সেই ভিডিয়ো পাঠানো হয় বন্ধু কৃষ্ণ মাহালিকে। দু’জনে মিলে নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে, ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দিয়ে বারবার ধর্ষণ করে।

ডিএনএ-তেই ধরা পড়ল আসল দোষী

২০২৩ সালের মে মাসে শারীরিক পরিবর্তন দেখে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বুঝতে পারেন মা। তখনই সব জানায় নাবালিকা। বানারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ দু’জনকেই গ্রেফতার করে। গর্ভস্থ ভ্রূণের ডিএনএ টেস্ট (DNA test) করিয়ে দেখা যায়, কৃষ্ণ মাহালির ডিএনএ মিলেছে। এই প্রমাণেই আদালতে সাজা ঘোষণা হয়।

আদালতে ১২ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড হয়। সব দিক বিবেচনা করে বিচারক কৃষ্ণ মাহালিকে ২৫ বছরের ও অমিতকে ২০ বছরের জেল দেন। একই সঙ্গে এক লক্ষ ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, জেলা আইন পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে ছয় লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ওই নাবালিকাকে।

POCSO FIR in Rape Allegation

আরও পড়ুনঃ ২১ জুলাই কোন কোন রাস্তা বন্ধ থাকবে? জানুন এক ক্লিকে

সাজা ঘোষণার পরে আদালতের বাইরে কাঁদতে কাঁদতে ভেঙে পড়ে অভিযুক্তরা। কিন্তু বিচারক স্পষ্ট বলেছেন, “এই রায় শুধু অপরাধীদের সাজা নয়, সমাজের কাছে বার্তা, নাবালিকার সম্মান নিয়ে খেলা করলে ছাড় নেই।”