বাংলাহান্ট ডেস্ক : কখনও শাড়ি পরার ধরণ, কখনও রিয়েলিটি শোতে নৃত্যনাট্য, বিভিন্ন বিতর্কে বারে বারে উঠে আসছে অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের (Mamata Shankar) নাম। প্রবীণ শিল্পীর বিভিন্ন মন্তব্যে বিভিন্ন সময় ঝড় উঠেছে নানান মহলে। সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়েছে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত অভিনেত্রীকে। এবার ফের তাঁর কিছু মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে নেটপাড়ায়। স্যানিটারি ন্যাপকিন (Sanitary Napkin) থেকে ‘অতি আধুনিকতা’ নিয়ে মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar)।
আবারও সমালোচনার শিকার মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar)
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বর্তমানে কিছু ‘দৃষ্টিকটু’ বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar)। উঠে আসে স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গ। অভিনেত্রী বলেন, ‘স্যানিটারি ন্যাপকিন তো প্রয়োজনীয়তা। মানুষ তো কিনবেই। এতদিন স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপন অন্য ভাবে দেখানো হত। এখন সেখানে লাল রঙ দিয়ে বোঝাতে হবে। আমরা কি দিন দিন বোকা হচ্ছি? আমরা এগোচ্ছি না পেছোচ্ছি? আমরা এতটাই বোকা হয়ে যাচ্ছি যে সবকিছু চামচে করে গিলিয়ে দিতে হবে, নয়তো সেটা বিক্রি হবে না?’
স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে বিষ্ফোরক অভিনেত্রী: মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar) বলেন, টিভিতে এই ধরণের বিজ্ঞাপন চলার সময় কেউ এসে পড়লে তাঁর ‘লজ্জা’ করে। রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েই তিনি বলেন, ‘আমি এখনও কতটা মডার্ন হয়ে উঠতে পারিনি যে ছেলেকে দিয়ে ওরম একটা জিনিস কিনতে পাঠাব বা আমার বাবাকে দিয়ে কেনাব। আমার স্বামীকে দিয়ে কেনাতে পারি’।
আরও পড়ুন : ‘রাজ্য জুড়ে অবাঙালি IAS-IPS, বৌমাও তো অবাঙালি’, বাঙালি ইস্যুতে মমতাকে বিঁধলেন সজল ঘোষ
অতি আধুনিকতা নিয়ে ক্ষোভ: প্রবীণ অভিনেত্রীর প্রশ্ন, ‘আমরা ছোট থেকে বড় হয়েছি। কোনোদিন তো কোনও ছেলে বন্ধুকে বলতে হয়নি কিনে দেওয়ার কথা? আমি কেন নিজেকে ছোট করব?’ স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রয়োজনীয়তা, সেটা স্বীকার করে নিয়েই মমতা শঙ্করের প্রশ্ন, মানুষ তবে বাথরুমে যায় কেন? রাস্তাঘাটে করলেই পারে। জামাকাপড় খুললেই যদি আধুনিক হওয়া যেত তবে একজন পাগলকে তিনি বেশি আধুনিক বলতেন বলে মন্তব্য করেন মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar)।
আরও পড়ুন : তিন মাসও কাটতে পারল না, শুরু হতে না হতেই দাঁড়ি পড়ছে জলসার নতুন সিরিয়ালে
এদিকে তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। ফের সমালোচনার মুখে পড়েছেন মমতা শঙ্কর। কেউ কেউ লিখছেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন অত্যন্ত জরুরি এবং স্বাভাবিক একটি বিষয়। সেটা কে কিনতে যাবে না যাবে তা নিয়ে এত বাছবিচার কীসের?’ আবার অনেকে মমতা শঙ্করের মন্তব্যগুলিকেই সমর্থন করেছেন। অতি আধুনিকতা সমাজকে আদিম যুগে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।