বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাপট নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তিনি। বঙ্গ বিজেপিতে তাঁর জোরালো নেতৃত্ব দলের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া থেকে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের হয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েও মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু হঠাৎ করেই সম্প্রতি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তিনি রাজ্যের নেতা। কেন্দ্রীয় বিষয়ে মন্তব্য করবেন না। কিন্তু হঠাৎ তাঁর এমন মন্তব্যের কারণ কী?
নিজেকে রাজ্যের নেতা বলে মন্তব্য শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
কাঁকুড়গাছির মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারকে পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তখনই ওঠে পহেলগাঁও এবং ভারত পাকিস্তান প্রাক্তনীদের ম্যাচ প্রসঙ্গ। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, পহেলগাঁও কাণ্ডের পরেও কি দেশপ্রেমের থেকে ক্রিকেট প্রেম বেশি হল যে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফের খেলবে ভারত?
কোন প্রেক্ষিতে এমন জবাব: এর উত্তরেই চাঁচাছোলা ভাষায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমি রাজ্যের নেতা, আমার গণ্ডি রাজ্যের মধ্যে। যাঁরা ন্যাশনাল লিডার, তাঁরা এ বিষয়ে কথা বলবেন’। উল্লেখ্য, চলতি ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস’এ চলছে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের নিয়ে টুর্নামেন্ট। খেলবেন ইউসুফ পাঠান, হরভজন সিং, যুবরাজ সিং, শিখর ধাওয়ানদের। অন্যদিকে পাকিস্তানের হয়ে খেলতে পারেন আফ্রিদি, মহম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিকরা।
আরও পড়ুন : চিকিৎসা করাতে ছুটতে হল আমেরিকা! কতটা গভীর শাহরুখের চোট? ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য
কী জানান শুভেন্দু: ভারত-পাক ম্যাচের নস্টালজিয়ার মাঝেই প্রশ্ন উঠছে, পহেলগাঁও কাণ্ডের পরেও পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ খেলা কতটা যুক্তিযুক্ত? যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি না হলেও এদিন ভাইয়ের বিচারের দাবিতে বিশ্বজিতের সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।
আরও পড়ুন : মাঝ রাস্তায় যাত্রীদের নামিয়ে বাস যাচ্ছে ২১-এর জন্য! আমজনতার ক্ষোভের মুখে TMC নেতা বললেন, ‘ক্ষমা চাইছি’
এদিন বাংলায় দুষ্কৃতী রাজ নিয়েও সরব হন শুভেন্দু। বিহারে হাসপাতালে ঢুকে গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে বাংলা থেকে। এই ঘটনায় কটাক্ষ শানিয়ে শুভেন্দু বলেনএই দুষ্কৃতী গুন্ডাদের আশ্রয়স্থল বাংলা।