বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলছে বর্ষাকাল। দুই বঙ্গেই বিভিন্ন জেলায় হচ্ছে বৃষ্টি। এমন অবস্থায় পাহাড়ে যেতে কার না মন চায় বলুন। তবে ছুটি পাচ্ছেন না আপনি। মাত্র দু’দিনের ছুটিতে আপনাদের আজ দারুন এক জায়গায় খোঁজ দেব। সপ্তাহের শেষে পরিবার, প্রিয়জন কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সাথে ঘুরে আসতে পারেন ঝাড়গ্ৰামের (Jhargram) বেলপাহাড়ি (Belpahari) থেকে।
সবুজে ঢাকা বেলপাহাড়ি বর্ষায় আরও সতেজ হয়ে ওঠে (Jhargram)
বেলপাহাড়িকে (Belpahari) ঝাড়গ্ৰামের এক লুকোনো স্পটও বলা যায়। সবুজে ঢাকা বেলপাহাড়ি বর্ষায় আরও সতেজ হয়ে ওঠে। এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতেই আসতে পারেন কোড়ো পাহাড়ে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন ভালো করতে বাধ্য। তবে বাইরের জগতের মানুষের কাছে বেলপাহাড়ি (Belpahari) পরিচিত হয়েছে ব্রিটিশ আমলে। জানা যায়, ছয়ের দশকের সময় থেকে দূরের লোকজনদের যাতায়াত বাড়ে। এখানে একবার বর্ষায় ঘুরে আসতে পারেন। বেলপাহাড়ি গিয়ে কোন কোন জায়গা গুলো দেখতে ভুলবেন না তা আজ আপনাদের বলব।
ঘাঘরা জলপ্রপাত: বেলপাহাড়ি থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘাগড়া জলপ্রপাত। এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য বর্ষাকালে আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। এখানে আসলে পরে আপনি একটি গিরিখাত দেখতে পাবেন। ঘাগড়া জলপ্রপাতে জলের তোড়ে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে গর্ত। যদিও টানা বৃষ্টি হলে এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য বদলে যায়।
চাতন পাহাড়: বেলপাহাড়ির অন্যতম জায়গা হল চাতন পাহাড়। এটি মূলত বেল পাহাড়ির ছোট্ট গ্রাম। এখানে আসলে আপনাকে পাহাড় চড়তে হবে। এই পাহাড় চড়তে পরিশ্রম হলেও এখানকার সৌন্দর্য আপনার মন কাড়তে বাধ্য। এছাড়াও বেলপাহাড়ি থেকে কাঁকড়াঝড়া যাওয়ার পথে শালবনের পাহাড় পথে ২০০ মিটার উঠলে দেখতে পাবেন পাহাড়ি গুহা।
গাড়রাসিনী পাহাড়: বেলপাহাড়িতে জঙ্গলের মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই পাহাড়টি। পাহাড়ের চারিপাশে রয়েছে অসংখ্য গাছপালা। এই গাছপালা ঘেরা পথে পড়বে বাসুদেবের মন্দির।
আরও পড়ুন: রবিবার হলুদ ধাতুর দর বাড়ল নাকি কমলো, ১ গ্ৰাম সোনা কিনতে কত খরচ পড়বে? জানুন
কি ভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?
শিয়ালদহ অথবা হাওড়া থেকে ট্রেনে করে ঝাড়গ্ৰাম যেতে পারেন। পাশাপাশি গাড়ি ভাড়া করেও যেতে পারেন ঝাড়গ্ৰাম। ঝাড়গ্ৰামে নেমে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান বেলপাহাড়ি। কিন্তু এখানে আসলে, আগের থেকে হোটেল বুক করে আসা ভালো হবে।