বাংলা হান্ট ডেস্ক: স্কুলে না গেলে দিতে হবে ২০০ টাকা। এমনই অভিযোগ উঠল বর্ধমানের (Bardhaman) আউসগ্রামে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়। এই বাড়তি টাকা নেওয়া আইনত নয় বলে অভিযোগ।
স্কুলে না গেলে দিতে হবে ২০০ টাকা, অভিযোগ বর্ধমানের আউসগ্রামের স্কুলে (Bardhaman)
স্কুল না গেলে দিতে হবে ২০০ টাকা। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠলো বর্ধমান (Bardhamam) আউশগ্রামের ভেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই স্কুল ফি বাবদ প্রথমে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল পরে তা ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় যথারীতি এলাকায় চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়।
সূত্রের খবর, এই স্কুলের অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল কামাই হাত করে এক্সট্রা টাকা নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ মিশ্র জানান, তাঁকে অন্ধকারে রেখে এ ধরনের কাজগুলি করা হচ্ছিল। দেবাশীষ মিশ্র আরও জানান, এইভাবে ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া অনুচিত।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, অভিভাবকদের দাবি অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে ভেদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের কাছ থেকে রসিদ ছাড়াই স্কুল ফি বাবদ ৪০০ টাকা ও পরবর্তীতে পর্যাপ্ত উপস্থিতি না থাকার জন্য ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বর্ষায় দু’দিনের ছুটিতে ঘুরতে যাচ্ছেন? ঘুরে দেখুন ঝাড়গ্ৰামের এই অপরূপ পাহাড়
এই অবস্থা চলতে থাকলে পড়ুয়ারা সরব হয়। আর পড়ুয়ারা সরব হতেই ভুল স্বীকার করে স্কুল। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের করণিক আব্দুল আলিম মণ্ডল বলেন, আমি একটা ভুল করে ফেলেছি। টাকা ফেরত দিয়ে দেব। তিনি জানান, যে সকল পড়ুয়াদের থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়েছে তার দ্রুত ওই পড়ুয়াদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।