বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সর্বাধিক চর্চিত বিষয়টি সন্দেহাতীত ভাবে দুর্নীতি৷ নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন, আগে সারদা, নারদা, কাটমানি এমনকি আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ (Amphan Relief) বণ্টন নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছিল। ২০২০ সালে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলাকে রীতিমতো তছনছ করে দেয়। সেই সময় রাজ্য সরকারের দেওয়া ত্রাণই ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ সামনে এসেছিল।
অভিযোগ ওঠে যে আমফানের ক্ষতিপূরণে ব্যাপক দুর্নীতি, স্বজনপোষণ হয়েছে। সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বিরোধী শিবির থেকে তৃণমূলের নেতারাই রাজ্য সরকারের দেওয়া ত্রাণ চুরি করেছে। আম জনতারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ত্রাণবণ্টন নিয়ে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই ঘটনার ৩ বছর পর এবার সেই ইস্যুতেই ফের সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
এদিন দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে ঝড় তুলে দেন শুভেন্দু। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কোনও এক গুদামঘরে ঠেসে ঠেসে ভরা রয়েছে আমফানের ত্রাণ সামগ্রী। প্রায় দু মিনিটের সেই ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে শুভেন্দু লেখেন, “তোলামূলী জঙ্গি শাহজাহান সেখ ও সওকত মোল্লারা আম্ফানের ত্রাণ সামগ্রী কি ভাবে লুট করেছে তা চাক্ষুষ করুন।”
আরও পড়ুন: BJP-র সুরে সুর মেলালেন অধীর! লোকসভা ভোটের আগেই বড়সড় ‘পালাবদল’? জোর জল্পনা রাজ্যে
শুভেন্দুর দাবি, “এই ভিডিও ফুটেজটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত কলেজ – জীবনতলা রোকেয়া মহাবিদ্যালয়ের বড়ো বড়ো চারটি গুদামঘরের। ২০২০ সালের আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী লুট করে রাখা হয়েছে এখানে।”
বিস্ফোরক দাবি করে সমাজমাধ্যমে শুভেন্দু আরও লেখেন, “এই কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন সওকত মোল্লা, যিনি তোলামূলী নেতা ও এই এলাকার ত্রাস হওয়ার সুবাদে কলেজ এবং কলেজের পরিকাঠামোকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে ব্যবহার করেন।”
শুভেন্দুর দাবি, আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী দরিদ্র ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। তিনি বলেন, “সওকত মোল্লাদের মতো তোলামূলী মাফিয়ারা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বরাদ্দ ত্রাণ সামগী লুট করেছে এবং ইচ্ছামতো খোলা বাজারে বিক্রি করেছে।” বিরোধী দলনেতার কথায়, “শুধু সওকত মোল্লা বা শাহজাহান সেখ নয়, সমগ্র উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ব্লকে এদের মতো তোলামূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা দরিদ্র মানুষের হক প্রতিনিয়ত এভাবেই লুট করে চলেছে।”