সামনে আসল পেছনে নকল! রাজ্যে ১০ কোটির জাল নোট উদ্ধার করল পুলিশ, লুকোনো ছিল শাহজাহানের গেস্টহাউজে

Published on:

Published on:

Fake Currency

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের শিরোনামে শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। এবারে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) দাদাগিরি নয়, জাল নোটের (Fake Currency) জেরে উঠে এল একসময়ের দাপুটে তৃণমূল নেতার নাম। শাহজাহানের মালিকানাধীন একটি গেস্টহাউজ থেকে সম্প্রতি উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ জাল নোট। টাকার অঙ্কে তা ১০ কোটি। এই ঘটনা সামনে আসতেই নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে, বর্তমানে শাহজাহান অবশ্য জেলবন্দি রয়েছেন।

সামনে আসল পেছনে নকল! রহস্যভেদ করল পুলিশ | Fake Currency

সূত্রের খবর, জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহেশতলার দেবব্রত চক্রবর্তী এবং মটরদিঘির সিরাজউদ্দিমন মোল্লাহ নামের দুজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গেস্টহাউজে রাখা বিস্কুটের কার্টন থেকে এই বিপুল পরিমাণ নোট উদ্ধার করা হয়েছে। জাল নোট লুকিয়ে রাখতে নোটের বান্ডিলের ওপরের দিকে রাখা ছিল আসল নোট।

বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার হতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। সন্দেশখালি জুড়ে জাল নোটের সন্ধানে দিকে দিকে অভিযান চালানো হচ্ছে। শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জাল নোটের উৎসের খোঁজে বহুদিন ধরেই তদন্ত চালানো হচ্ছে। কোথা থেকে কী উদ্দেশে জাল নোট ওই হোটেলে নিয়ে আসা হচ্ছিল তা নিয়েও খোঁজ চালানো হচ্ছে।

ধৃতদের জেরা করে তদন্ত এগোচ্ছে পুলিশ। এদিকে বিধানসভা ভোটের আগে যখন রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে সেই সময় এত পরিমাণে জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় শাসকদলকে তোপ দাগতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। তৃণমূলকে তোপ দেগে এই ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বিজেপির অমিত মালব্য।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মালব্য লিখেছেন, ‘একটি ছোট সীমান্ত লাগোয়া সন্দেশখালী আবারও খবরের শিরোনামে, এবার জাল নোটের চক্রের জন্য। অসহায় নারীদের ধর্ষণ, জমি দখল থেকে শুরু করে এখন জাল নোট তৈরিতে সহায়তা করা পর্যন্ত, প্রতিটি অপরাধের পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী শেখ শাহজাহান জড়িত, যাকে তিনি বিধানসভায় সমর্থন করেছিলেন, রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন।’

আরও পড়ুন: বদলে গেল পূর্বাভাস! বিকেলেই ফের তেড়ে ঝড়-বৃষ্টি শুরু, ২১ জুলাই ভাসবে কলকাতা? জারি সতর্কতা

অমিতের তোপ, ‘এটা শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নয়, রাজ্যের মদতে এই জায়গাটা অপরাধের মুক্তাঞ্চলের পরিণত হয়েছে একেবারে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ বাংলা এবং বাঙালির এত ক্ষতি করেনি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারী। দেশদ্রোহী এবং অপরাধীদের ঢাল হয়ে থাকা সরকার তাদের জন্য নয়।’