‘রাজনৈতিক যুদ্ধ অন্য কোথাও করুন’, মমতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় বলল সুপ্রিম কোর্ট

Published on:

Published on:

mamata banerjhee sc

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে ‘আত্মদীপ’ নামে একটি সংগঠন। সেই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বিআর গবই বললেন, ‘‘রাজনৈতিক যুদ্ধ অন্য কোথাও করুন। কোর্টকে রাজনীতিকরণ করবেন না।’’

মমতার বিরুদ্ধে মামলায় কী বলল সুপ্রিম কোর্ট? Mamata Banerjee

এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারীর আইনজীবী সওয়াল করেন, মামলাটির শুনানি আপাতত মুলতুবি রাখা হোক। অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপরই চিফ জাস্টিস বলেন, ‘‘আপনি কী নিশ্চিত, যে অনুমতি পাবেন? ” প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “কোর্টকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা করবেন না। আপনাদের রাজনৈতিক যুদ্ধ অন্য কোথাও করবেন।’’

সোমবার প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের নেতৃত্বে বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার তিন সদস্যের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। প্রসঙ্গত, মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, গত ৩ এপ্রিল এসএসসি মামলার রায় নিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়েই দায়ের হয় মামলা।

নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর ২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর সেই চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য, এসএসসি। তবে শীর্ষ আদালতও হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে। এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে।

mamata banerjee supreme court

আরও পড়ুন: সকাল সকাল পাতে পড়ল খিচুড়ি! একুশে জুলাইয়ে মেনুতে বিরাট চমক তৃণমূলের

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের চাকরি চলে যায়। এই রায় নিয়ে সেইসময় সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ ওঠে, সেই দিন মামলার রায় এবং বিচারপতি সম্পর্কে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেন মমতা। এই নিয়েই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। চার সপ্তাহ পরে মামলাটির শুনানি হবে।