বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। তার আগে লড়াইয়ের মেজাজে শাসক থেকে বিরোধী। ঝাঁজ বাড়ছে রাজনৈতিক আক্রমণেও। রবিবার নেতাইয়ের শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সেখানে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তীব্র নিশানা নন্দীগ্রাম বিধায়কের।
জোর গলায় শুভেন্দুর দাবি, এবার ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক নিজের কেন্দ্রে দাঁড়ালেও তিনি আর জিতে আসতে পারবেন না। ভোটের অঙ্ক কষে বিরোধী দলনেতা বলেন, ২৪ এর নির্বাচনে ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি লড়াই করলে তৃণমূল সেকেন্ড হবে। আর যদি নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique) সেখান থেকে লড়াইয়ে নামেন তাহলে অভিষেক থার্ড হবেন।
রবিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে সরকারি পরিষেবায় বঞ্চনার শিকার হওয়া ৭৬ হাজার ১২০ বয়স্ক মানুষকে বার্ধক্য় ভাতা দেওয়ার সূচনা করেন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাথেই অভিষেক বলেন, গত ১০ বছর ধরে ডায়মন্ডহারবারে যত কাজ, যা উন্নয়ন হয়েছে তা খোদ প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রেও হয়নি। নেতার এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাল্টা শুভেন্দু বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিকভাবে ভোটটা হতে দিন। তাহলেই দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে। চ্যালেঞ্জ স্বীকার করলাম। ডায়মন্ডহারবারে পদ্মফুলের প্রার্থী ওকে হারাবে।’
শুভেন্দু আরও বলেন, “লোকসভা ভোটের আগে এভাবে কয়লার টাকা, ঘুষের টাকা, লুটের টাকা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এই ১৬,৮০০ জন ডোনারের তালিকা দিতে হবে। তাযদি না দিতে পারে তাহলে আয়কর দফতরের কাছে দাবি করবে, ওরা ফেক ডোনার।”
আরও পড়ুন: মাংস-ভাত থেকে তরকা, ডিম কষা আরও কত কি! DYFI-র ব্রিগেড সভার মেনু শুনলে জিভে জল আসবে
অভিষেকের দেওয়া বার্ধক্য় ভাতাকে ঘুষ বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। বলেন, “এটা এক ধরনের ঘুষ। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।” গতকাল নেতাইয়ে গিয়ে শহিদের বেদীতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু। লালগড়ে মোমবাতি মিছিলেও হাঁটেন। কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “মোঘল পাঠানা হানাদাররা যেমন আমাদের দেশ চালাত। এক পরিবারকেন্দ্রীয় শাসন। সেই ভাবেই শুধুমাত্র নিজের এলাকাকে রাজ্য সরকারকে দিয়ে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ওদিকে জঙ্গলমহলে জনজাতি, কুড়মিরা দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প ছুটে ছুটে পায়ের জুতো ছিড়ে ফেলেছেন। তাদের বার্ধক্যভাতা জোটেনি। ”
শুভেন্দু বলেন, ২০১৯ সালে ডায়মন্ডহারবারে বিজেপির ১৯ জন মণ্ডল প্রেসিডেন্টকে ভোটের ২ দিন আগে মিথ্যে মামলায় আটকে দেওয়া হয়েছিল। এসব করার পরও সেখানে সাড়ে চার লাখ ভোটে পেয়েছে বিজেপি। এবার ওকে হারাব। লড়াই হবে। আর নওশাদভাই যদি ভোটে দাঁড়ায় তাহলে ও থার্ড হবে। বলে দিচ্ছি। আমাদের সঙ্গে আইএসএফের লড়াই হবে।” লোকসভা ভোটের আগে নওশাদের সমর্থনে শুভেন্দুর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।