বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রতিটি বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো (Durgapuja) একটি বড়ো উৎসব। তাছাড়া কলকাতার (Kolkata) দুর্গাপুজো তো গোটা ভারতবর্ষের (India) মধ্যেই বিখ্যাত। এছাড়া এখানকার পুজো তো প্রত্যেক বছরই নতুন নতুন চমক দেয়। তবে সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যের দিক দিয়ে চন্দননগরের (Chandannagar) জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja) কম কিছু নয়। এই জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে ওঠে গোটা চন্দননগর সহ রাজ্যের মানুষ।
কলকাতা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার (45 Kilometer) দূরে হুগলী জেলায় অবস্থিত একটি শহর চন্দননগর। সেখানকার জগদ্ধাত্রী পুজো প্রত্যেক বছরই দর্শনার্থীদের চমক দিতে প্রস্তুত থাকে। যতই সুন্দর হোক সেখানকার লাইটিং, থিম কিন্তু সেখানকার শেষ কথা হল সেখানের পুজোর ঐতিহ্য। এখানকার পুজোর ইতিহাস প্রায় কলকাতার পুজোর চেয়েও ৩৫০ বছর (350 year) পুরনো।
এই পুজো দেখতে শুধু সেখানকার মানুষরাই আসেন না দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে এবং বিদেশ থেকেও অনেক মানুষ পুজো দেখতে আসেন। তাই প্রতি বছরই ভিড় লেগে থাকে এই পুজোতে। তবে এরই পাশাপাশি একটি মন্দির রয়েছে, যা প্রায় ৫০০ বছর (500 year) পুরনো। জানেন এই মন্দিরের কথা?
এই মন্দিরটি চন্দননগরের স্ট্র্যান্ড রোডে (Strand Road) যেতে পরে। এই মন্দিরের সম্পর্কে বেশ কিছু মানুষ জানলেও অধিকাংশ মানুষই এই বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানেনা। এই মন্দিরটিতে চতুর্ভুজা মা বোড়াই চণ্ডীর (Borai Chandi) পুজো হয়। যদিও এই মূর্তি মা দুর্গা (Durga) হিসেবেই পুজিত হয়। ইতিহাসের পাতা অনুযায়ী এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রীমন্ত সওদাগর। এই মন্দিরে দেবীর চার হাতে রয়েছে, শঙ্খ, চক্র, পদ্ম ও ত্রিশূল। এই দেবী মায়ের মূর্তিটি পাথরের। সেখানে মহাদেবেরও অধিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া মায়ের মন্দিরে প্রবেশপথে রয়েছে একটি নাট মন্দির।
এই মন্দিরটি খোলা থাকে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এবং বিকেল দিকে ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এই জায়গাটিতে যদি আপনারা যেতে ইচ্ছুক তাহলে, চন্দননগর স্টেশন থেকে লক্ষ্মীগঞ্জ (Lakshmi Ganj) বাজার হয়ে পৌঁছতে পারবেন বোড়াইচন্ডী তলা।