বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরে এবার ‘দুর্গাঙ্গন’ তৈরির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই বাংলায় আর এক নতুন মন্দির তৈরির কথা জানালেন তিনি। ধর্মের রাজনীতিকে নিশানা করে বিজেপিকে কটাক্ষও করেন। তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন, “ভোট এলে তবেই আপনাদের কালী-দুর্গা মনে পড়ে?”
ভোট এলেই ধর্মের শরণে বিজেপি, কটাক্ষ মমতার (Mamata Banerjee)
সভামঞ্চ থেকে সরাসরি আক্রমণ করে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, অসমে কালীমন্দির ভেঙে দেওয়া হয়েছে, অথচ কারও গায়ে কাঁটা দিচ্ছে না। উল্টে যদি এমন ঘটনা বাংলায় ঘটত, তাহলে বলত মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) পুজো করতে দেন না। তাঁর কথায়, “এই বাংলায় মা কালীর পুজো হয়, দুর্গাপুজো হয়, এসব নিয়ে রাজনীতি করবেন না।” এরপরই নতুন মন্দিরের কথা ঘোষণা করেন তিনি, বলেন, “জগন্নাথ ধামের মতোই বাংলায় ‘দুর্গাঙ্গন’ তৈরি হবে।”
অভিষেকের তোপ, জয় বাংলা বলাব
তৃণমূল (TMC)-র সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) মঞ্চ থেকে আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, “এতদিন জয় শ্রীরাম বলত বিজেপি, এখন জয় মা কালী বলছে। জয় মা দুর্গাও বলছে। ২০২৬-এর ভোটের পর জয় বাংলা-ও বলাব।” তাঁর বক্তব্যে মোদীকে নিয়ে কটাক্ষ স্পষ্ট, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করতে বলেন তিনি।
মন্দির ঘিরে রাজনৈতিক বার্তা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোট (election) যত এগিয়ে আসছে, বাংলার মাটি বুঝে মমতা (Mamata Banerjee) এবার ধর্মীয় আবেগে স্পর্শ করছেন। তবে সেই স্পর্শে রয়েছে সংযম, রয়েছে কৌশল। বিজেপির মত ধর্মকে পুঁজি না করে, বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি ধরে রাখার দিকেই বেশি জোর দিচ্ছেন তিনি। “ধর্মকে আমরা সম্মান করি, রাজনীতি করি না,” এদিন একথা স্পষ্ট বলেন মমতা (Mamata Banerjee) ।
আরও পড়ুনঃ চার্জশিটে নাম বলে কি দূরে সরালো দল? সভায় গিয়েও মঞ্চে যেতে পারলেন না বিধায়ক পরেশ পাল
এদিন নতুন মন্দিরের ঘোষণার পাশাপাশি মমতার গলায় যে আত্মবিশ্বাস দেখা গিয়েছে তা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেও উদ্দীপনা তৈরি করেছে। কালীঘাট থেকে দুর্গাঙ্গন, বাংলার দেবী-ভক্তির নতুন পরিক্রমা এখন মিশেছে রাজনৈতিক বার্তাও।