৫০০ এর মধ্যে ৬৯! সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ২৫% DA মামলা নিয়ে সামনে এল লিস্ট, চাপে রাজ্য

Published on:

Published on:

dearness allowance da

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জুলাই মাস প্রায় শেষের দিকে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা ‘অমান্য’ করেছে রাজ্য সরকার। এই মুহূর্তে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মামলার পরবর্তী শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকল সরকারি কর্মচারীরা। এবার সেই দিনক্ষণ নিয়েই বড় আপডেট সামনে এল।

বকেয়া ডিএ মিলবেই, আশাবাদী সরকারি কর্মীরা | Dearness Allowance

সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ অগস্ট। সুপ্রিম কোর্টের ৪ঠা আগস্টের শুনানির জন্য অগ্রিম তালিকা বা অ্যাডভান্স লিস্ট প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। এই তালিকাটি থেকে জানা গিয়েছে ৫০০ এর বেশি মামলার তালিকায় ডিএ মামলাটি ৬৯ নম্বরে রয়েছে। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিএ মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে। ৪ঠা আগস্ট দুপুর ১২টার মধ্যে এই মামলার শুনানি শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে ১৬ই মে, ২০২৫-এ শেষ শুনানি হয়েছিল। সেই সময় ৪ঠা আগস্ট, ২০২৫-এর জন্য মামলাটি “টপ অফ দ্য বোর্ড” হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।

সরকারি কর্মীদের আশা সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির পর সমস্ত কর্মচারী তাদের ২৫% বকেয়া ডিএ পাবেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান করতে বাধ্য হবে এবং সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে সরকারকে।

উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদনেই ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম নির্দেশ কার্যকর করতে আরও ছয় মাস সময় দরকার বলেও জানানো হয়েছে। রাজ্যের যুক্তি, বকেয়া ডিএ মেটাতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, চলতি অর্থবর্ষে সেই বাজেট বরাদ্দ নেই।

Due to non-payment of outstanding Dearness Allowance Pen Down programs Coordination Committee announces

আরও পড়ুন: আবহাওয়ায় শনির দশা! ফের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির তোলপাড় দক্ষিণবঙ্গে: আজকের আবহাওয়া

আদালতে রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়, যেহেতু নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হচ্ছে, সেই কারণে প্রদেয় অর্থ আদালতের কাছে জমা রাখা হোক। কারণ একবার কর্মচারীদের এই অর্থ দিয়ে দেওয়া হলে পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রাজ্যের পক্ষে গেলেও টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। রাজ্যের এই পদক্ষেপের পর পাল্টা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।