বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিনে রাজ্যের দুই জেলায় ঘটে গেল রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ড। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ ও মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে ঘটে যাওয়া হত্যা কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। দুটি খুনই কুপিয়ে করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই খুনের পেছনের কারণ রাজনৈতিক না ব্যক্তিগত, তা ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
বুধবার ভোরবেলায় কাকদ্বীপের রামতনুনগর এলাকায় ধান জমির ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায় বছর ২৭-এর রাকিব শেখের (Rakib Sheikh) রক্তাক্ত দেহ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সালাউদ্দিন শেখের ভাইপো ছিলেন রাকিব। পরিবারের দাবি, কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই তাঁর। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বাবার কথায়, “জানতাম ছেলে ঘুমাচ্ছে। কে বাইরে ডেকে নিয়ে গেল বুঝতে পারছি না।” মাথায় ধারাল অস্ত্রের কোপ। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।
রাতে কে বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল রাকিবকে?
নিহতের পরিবার জানায়, তাঁদের বাড়িতে তিন ছেলে, কেউই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। বাবার দাবি, “আমার ছেলে রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়াত না। শুনলাম রাতের বেলা মাঠে নিয়ে গিয়ে কোপানো হয়েছে। কেন? কেউ তো কিছু বলছে না।” এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। তবে কে বা কারা তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল, তা জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আরও পড়ুনঃ ‘নগ্ন করে ভিডিও ভাইরাল করে দেব’, মালদহের বিজেপি নেত্রী কে হুমকি, কারা দিল?
এই আবহে প্রকাশ্যে এসেছে আরও এক তৃণমূল নেতার (Trinamool Congress) খুনের ঘটনা। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে ভরসন্ধ্যায় কুঁপিয়ে খুন করা হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীকে। বাড়ি থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে পাওয়া গিয়েছে তাঁর দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করেছে ভরতপুর থানার পুলিশ।
এই খুনের ঘটনায় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির স্পষ্ট বলেন, “যিনি খুন হয়েছেন তিনিও তৃণমূল করেন, যারা করেছে তারাও। তবে এটা কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নয়, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব। ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদ থাকতে পারে।” তবে পুলিস বলছে, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন হলেও, রাজনৈতিক সম্পর্ক উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।