বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভরা বর্ষায় ইলিশ (Hilsa Fish) সুখ এখন পেয়ে ওঠেননি অনেক বাঙালিই। কয়েকশো গ্রামের মাছ এখন বিকোচ্ছে কয়েক হাজার টাকায়। এমতাবস্থায় চড়া দামের জন্য ইলিশে হাত দিতেই ভয় পাচ্ছে মধ্যবিত্ত। এর মাঝেই এল নতুন আশঙ্কার খবর, বাজার থেকে এবার উধাওই হয়ে যেতে পারে ইলিশ মাছ (Hilsa Fish)। নেপথ্যে কারণ, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা।
বাজারে আর নাও মিলতে পারে ইলিশ মাছ (Hilsa Fish)!
কয়েকদিন তীব্র গরমের পর বৃহস্পতিবার রাত থেকেই অঝোর ধারায় ভিজছে কলকাতা সহ বাংলার একাধিক জেলা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। তার জেরেই এই তুমুল বর্ষণ। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলছে দুর্যোগ। বিশেষ করে উপকূলবর্তী অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার জেরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর তাতেই প্রমাদ গুনছেন মৎস্যজীবী থেকে বিক্রেতারা।
আবহাওয়ার ধাক্কায় বেসামাল মাছ ব্যবসা: সুন্দরবন পুলিশ জেলার তরফে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদিকে মৎস্য দফতরের তরফেও আগামী চারদিন গভীর সমুদ্রে যাওয়ায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। উপকূল এলাকায় চলছে মাইকিং। গভীর সমুদ্র থেকে ইতিমধ্যেই উপকূলের দিকে নৌকা, ট্রলার ঘুরিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে এখন বেশ কিছুদিন গভীর সমুদ্রে মাছ (Hilsa Fish) ধরতে পারবেন না তাঁরা। আর এর জেরেই মাছের ব্যবসায় বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : সংবিধান-আদালত না মানার অভিযোগ, ‘অপরাজিতা বিল’ ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল, কেন্দ্রকে তোপ TMC-র
বাজারে পড়তে পারে টান: এমনিতেই চাহিদার তুলনায় ইলিশের জোগান কম বাজারে। তার মধ্যে মৎস্যজীবীরা যদি মাছ ধরতে যেতেই না পারেন, তবে ইলিশ (Hilsa Fish) আসা আরোই বন্ধ হয়ে যাবে। সামান্য যদি বা কিছু আসেও তার দাম উঠবে আকাশছোঁয়া। তা কেনার সামর্থ্য কতজনের হবে তা নিয়ে আশঙ্কায় বিক্রেতারা। এদিকে ভরা মরশুমে বারংবার প্রকৃতির বাধার জেরে ইলিশ (Hilsa Fish) তেমন উঠছেই না মৎস্যজীবীদের ট্রলারে। মার খাচ্ছে জীবিকা। ইলিশের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছেও টান পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুন : বিধানসভার আগে পদ্ম-অস্ত্রে শান, খেজুরীতে কৃষি সমবায় সমিতি নির্বাচনে সব আসন ছিনিয়ে নিল BJP
আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল নিম্নচাপের আশঙ্কার কথা। সাগরের উপর গভীর নিম্নচাপ জমাট বাঁধায় দুর্যোগ চলছে প্রায় দুদিন ধরে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত চলতে পারে এই দুর্যোগ। আবহাওয়ার উন্নতি হলে ফের সমুদ্রে যাবেন বলে জানান মৎস্যজীবীরা।