বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামী ২২শে জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে অযোধ্যার রামলালার। রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে এখন অযোদ্ধা জুড়ে সাজো সাজো রব। ইতিমধ্যেই রাম মন্দিরে বসানো হয়েছে বিশাল সোনার দরজা। এই আবহে দেশ-বিদেশ থেকে রাম মন্দিরের জন্য আসছে উপহার। ধর্মীয় উচ্ছ্বাসের সাথে আবেগ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
তাই দেশ-বিদেশের শিল্পীরা উপহার পাঠাচ্ছেন রাম মন্দিরের জন্য। এই উপহারগুলির মধ্যে রয়েছে একটি ১০৮ ফুট লম্বা ধূপকাঠি, একটি ২১০০ কেজির ঘণ্টা, ১১০০ কেজি ওজনের একটি বিশাল বাতি, সোনার স্ট্যান্ড, একটি ১০ ফুট উঁচু তালা ও চাবি এবং একটি ঘড়ি যা একসাথে ৮টি দেশের সময় দেয়।
আরোও পড়ুন : বাংলায় বেহাল শিশু শিক্ষা! ২৪ বছর আগে চালু হওয়া স্কুল হয়ে গেল বন্ধ, প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের
সীতার জন্মস্থান নেপালের জনকপুর থেকে ভগবান রামের জন্য তিন হাজারের বেশি উপহার এসে পৌঁছেছে অযোধ্যায়। রুপোর জুতো, গহনা ও জামাকাপড় সহ আরও অনেক উপহার রয়েছে এই তালিকায়। জনকপুর ধাম রামজানকী মন্দির থেকে প্রায় ৩০টি গাড়ির কনভয়ে করে উপহারগুলি নিয়ে আসা হচ্ছে অযোধ্যায়।
আরোও পড়ুন : ফ্রি ফ্রি ফ্রি! এই ৩ টি পরিষেবার জন্য দিতে হবে না এক পয়সাও, ধামাকা অফার আনল Jio
শ্রীলঙ্কার একটি প্রতিনিধিদলও উপহার নিয়ে এসেছিল অযোধ্যার রাম মন্দিরের জন্য। অশোক ভাটিকায় রাবণ মা সীতাকে অপহরণের পর রেখেছিলেন। সেই অশোক ভাটিকা থেকে একটি শিলা নিয়ে আসা হয়েছে রাম মন্দিরের জন্য। ১০৮ ফুট লম্বা ধূপকাঠি এসে পৌঁছেছে গুজরাটের ভাদোদরা থেকে। এই ধূপকাঠির ওজন ৩৬১০ কেজি এবং এটি প্রায় ৩.৫ ফুট চওড়া।
ভাদোদরার বাসিন্দা ভিহা ভরওয়াদ এই ধূপকাঠি তৈরি করেছেন। তিনি জানান, এই ধূপকাঠি পরিবেশ বান্ধব। এটি প্রায় দেড় মাস স্থায়ী হবে এবং এর সুগন্ধ বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। এই ধূপ তৈরি হয়েছে ৩৭৬ কেজি গুগ্গুলু, ৩৭৬ কেজি নারিকেলের খোসা, ১৯০ কেজি ঘি, ১ হাজার ৪৭০ কেজি গোবর ও ৪২০ কেজি ভেষজ মিশিয়ে।