বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ সংক্রান্ত (Dearness Allowance) মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অগস্ট মাসে সর্বোচ্চ আদালতে সেই মামলা শুনানির জন্য উঠবে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ সহ বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবি নিয়ে আগামী ২৮ জুলাই নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, যৌথ মঞ্চ, পশ্চিমবঙ্গ চাকরিপ্রার্থী চাকরিজীবী চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চ ও অন্যান্য কিছু সংগঠন। যদিও তাতে পুলিশি অনুমতি মেলেনি।
নবান্ন অভিযান ঘিরে প্রস্তুতি শুরু
সোমবার নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশকে চিঠি দিয়েছিল সরকার কর্মীদের একাধিক সংগঠন। তবে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এও বলা হয়েছে, এর পরও নবান্ন অভিযান করার চেষ্টা হলে আইনত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই নবান্ন অভিযান আটকাতে হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে ফোরশোর রোড এবং জিটি রোডে ১২ ফুট লোহার ব্যারিকেড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় লাগানো হচ্ছে গার্ডরেল।
এদিকে এই নিয়ে হাইকোর্টেও মামলা হয়েছে। মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, সোমবার নবান্ন অভিযানের জেরে মঙ্গলাহাট বিপর্যস্ত হতে পারে। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় এই অভিযান নিয়ে পুলিশ যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই চূড়ান্ত।
হাইকোর্ট এও জানিয়েছে পুলিশের তরফে অনুমতি না মিললেও যদি মিছিল বা সভা করার জন্য ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হলে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে। যদিও নবান্ন অভিযান নিয়ে নিজেদের অবস্থানেই অনড় আন্দোলনকারীরা। সোমবারের কর্মসূচি নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ ইতিমধ্যেই নিজেদের মতামত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘দেখেই চোখ কপালে উঠে গেল’, ৩০ টাকার লটারি কেটে কোটিপতি মিষ্টির দোকানের কর্মচারী বিপিন
ভাস্করবাবুর কথায়, “সরকারের কাছে আমাদের দাবি পেশ করার জন্য এই পুলিশ কবেই অনুমোদন দিয়েছে? পুলিশ অনুমতি দিল কি না, সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় আমাদের কাছে। আমাদের আইনজীবী আদালতের রায়ের যে ব্যাখ্যা আমাদের দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী আদালত কিন্তু আমাদের অনুমতি দিয়েছে।” সোমবারের এই নবান্ন অভিযান নিয়ে বর্তমানে উত্তেজনা চরমে রয়েছে।