রাষ্ট্রীয় জনতা দল অর্থাৎ RJD থেকে বহিষ্কারের পর স্বাধীনভাবে রাজনীতির ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিলেন তেজপ্রতাপ যাদব (Tej Pratap Yadav)। সম্প্রতি তিনি ঘোষণা করলেন, আগামী বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তিনি মহুয়া কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। বর্তমানে তিনি হাসানপুর কেন্দ্রের বিধায়ক হলেও, এবার ফিরতে চান নিজের পুরনো কেন্দ্র মহুয়াতে।
“এইবার আমি নির্দল প্রার্থী হয়ে মহুয়া থেকে লড়ব।”, বললেন তেজপ্রতাপ (Tej Pratap Yadav)
শনিবার সন্ধ্যায় পাটনার নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তেজপ্রতাপ (Tej Pratap Yadav) জানান, “এইবার আমি নির্দল প্রার্থী হয়ে মহুয়া থেকে লড়ব। এখন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বীরা আতঙ্কিত।” তিনি দাবি করেন, সাধারণ মানুষ তাঁর পাশে আছেন এবং তাঁর তৈরি করা ‘টিম তেজপ্রতাপ যাদব’ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনেকে যোগ দিচ্ছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ করে বলেন, “এইবার চাচা মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। যে দল যুবসমাজ, চাকরি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলবে, আমি তাদের সমর্থন করব।”
তেজপ্রতাপ যাদবকে (Tej Pratap Yadav) তাঁর বাবা, অর্থাৎ আরজেডি-র প্রতিষ্ঠাতা লালুপ্রসাদ যাদব, গত ২৫ মে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করেন। তেজপ্রতাপ সম্প্রতি ফেসবুকে এক পোস্টে নিজের সম্পর্কের কথা জানিয়ে আলোড়ন ফেলেন, যদিও পরে দাবি করেন তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। এই ঘটনার জেরে বাবার সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে এবং তাঁকে ‘পরিবারের বাইরে’ বলে ঘোষণা করা হয়।
বহিষ্কারের পর তেজপ্রতাপ (Tej Pratap Yadav) অভিযোগ করেন, তাঁর ও ভাই তেজস্বী যাদবের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হয়েছে। তিনি বিশ্বাসঘাতকদের ‘জয়চাঁদ’ বলে ইঙ্গিত করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুনঃ পড়ুয়াদের ল্যাপটপ দিচ্ছে কেন্দ্র? সত্যিই চালু হল ‘One Student One Laptop Scheme’? খোলসা করে বলল PIB
উল্লেখ্য, লালুপ্রসাদ যাদব ও রাবড়ি দেবীর দুই ছেলে তেজস্বী ও তেজপ্রতাপ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে যুক্ত। তেজপ্রতাপ (Tej Pratap Yadav) ২০১৫ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখেন এবং ইতিমধ্যেই দু’বার বিধায়ক ও দু’টি দপ্তরের মন্ত্রীত্বও সামলেছেন। আরজেডি নেতৃত্বে এখন তেজস্বী যাদব থাকলেও, তেজপ্রতাপের (Tej Pratap Yadav) নির্দল প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত বিহার রাজনীতিতে নতুন চমক এনে দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।