বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রোজভ্যালি কেলেঙ্কারি ঘিরে ফের বিতর্কে নাম জড়াল অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে রোজভ্যালির ঠিক কী ধরনের চুক্তি হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত আইনি নথি প্রকাশ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। আর তাতেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর আলোড়ন।
ফেসবুক ও টুইটারে রোজভ্যালির সঙ্গে মিঠুনের চুক্তির কাগজপত্র পোস্ট করেন কুণাল (Kunal Ghosh)
রবিবার সকালে নিজের ফেসবুক (Facebook) ও এক্স (X) অ্যাকাউন্টে রোজভ্যালির সঙ্গে মিঠুনের চুক্তির কাগজপত্র পোস্ট করেন কুণাল (Kunal Ghosh)। কাগজে মিঠুন ও তাঁর স্ত্রী যোগিতা বালির স্বাক্ষর রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। শুধু পারিশ্রমিক নয়, এই চুক্তি ছিল রীতিমতো অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, এমনটাই জানিয়েছেন কুণাল।
এই নথি সামনে এনে কুণালের প্রশ্ন,
- চুক্তিটি কি সত্যি?
- মিঠুন রোজভ্যালির কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছিলেন?
- সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন কি না?
- এত তথ্য থাকার পরও কেন্দ্রীয় এজেন্সি কেন তাঁকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি?
এখানেই থামেননি কুণাল (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, “যদি আমি সাংবাদিক হয়ে লিখিত চুক্তিতে ছ’সাতটি মিডিয়ায় বিপুল কাজ করে চেকে পারিশ্রমিক নিয়ে ট্যাক্স দিয়েও বন্দি হই, কলঙ্কিত হই; মিঠুনদা সারদা, রোজ ভ্যালিতে গ্রেপ্তার নয় কেন? এই কারণেই কি বিজেপির পায়ে পড়ে বাঁচা?” এরপর কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) দাবি জানিয়ে বলেন, “রোজ ভ্যালির তদন্তে অবিলম্বে মিঠুনদাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।”
এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন বাংলার বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশও। কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ’-এর এক আলোচনায় মিঠুনের মন্তব্য ও ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগীতশিল্পী সৈকত মৈত্র ও সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য। সৈকতের বক্তব্য, “একজন সাংস্কৃতিক কর্মী বলে বসলেন, বাঙালিদের উপর কোনও অত্যাচার হচ্ছে না। তিনি হয় খবর রাখেন না, না হলে ইচ্ছা করে চোখ বন্ধ করে রেখেছেন।” তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য অমানবিক, তিনি এখন একজন পরিযায়ী বাঙালি।”
সুমন ভট্টাচার্য আরও কড়া ভাষায় মিঠুনকে আক্রমণ করে বলেন, “যাঁরা বাংলার বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাঁরা আসলে এই বাংলার রাজাকার। আজ মিঠুন, কাল হয়তো জগদীপ ধনকড় হবেন!”
আরও পড়ুনঃ বীরভূমে একান্ত বৈঠকে মমতা-অনুব্রত, তার আগে দেখা করলেন ফিরহাদ-কাজল, কি আলোচনা হল?
রোজভ্যালি মামলার এই নতুন মোড় ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ছে, এবং তৃণমূলের তরফে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি আরও জোরালো হচ্ছে।