বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দিতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। পাল্টা সেই নিয়ে মামলা হলে বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। SSC কাণ্ডে চাকরিহারা সকল শিক্ষাকর্মীদের (‘গ্রুপ-সি’, ‘গ্রুপ-ডি’ কর্মীদের) মাসে-মাসে যে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee) সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে রাজ্য এখানেই থামতে রাজি নয়। একক বেঞ্চের রায়ের পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
একক বেঞ্চের পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য | Calcutta High Court
আদালতে রাজ্যের বক্তব্য, চাকরিহারাদের সামাজিক মান এবং জীবনযাত্রা চালিয়ে যাওয়ার জন্যে এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ভাতা দেওয়ার অধিকার রয়েছে রাজ্যের। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের ভাতা সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ ছিল, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরই একাধিক মহলে সমালোচনা শুরু হয়। এরই মধ্যে এবার ডিভিশন বেঞ্চে গেল সরকার। উল্লেখ্য, এসএসসি-তে (SSC) চাকরিহারা সকল শিক্ষাকর্মীদের মাসে-মাসে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee)। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছিল, ২০১৬ সালে এসএসসি গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র যে কর্মীরা আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন, তাঁরা ভাতা পাবেন।
জানানো হয়, মাসিক ২৫ এবং ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। গ্রুপ সি চাকরিহারাদের মাসিক ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি-র চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের পাশে আমি আছি..,’ ২০১৭ সালে টুইট করেছিলেন মমতা! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
বলা হয়েছিল, ‘মানবিক কারণে’ চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টারিম স্কিম, ২০২৫’ নামের প্রকল্পের মাধ্যমে এই ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই মামালা দায়ের হয় হাইকোর্টে।