বাংলা হান্ট ডেস্ক : পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী তাইওয়ান (Taiwan) নামক দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ‘চিনপন্থী’রা তো দেশটিকে স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে গণ্যই করেনা। এই ভূখণ্ডের অধিকার নিয়ে চিন (China) এবং তাইওয়ানের (Taiwan) মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। তাইওয়ানের এই ভূখণ্ডকে বরাবরই নিজের বলে দাবি করে এসেছে বেজিং (Beijing)। সম্প্রতি সেই তাইওয়ানকে নিয়েই বেশ অস্বস্তিতে চিন।
সদ্যই সামনে এসেছে তাইওয়ান নির্বাচনের (Taiwan Election) ফলাফল। যেখানে তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন লাই চিং তে (Lai Ching Te) ওরফে উইলিয়াম লাই। এই জয়ের পর চিনের (China) সমস্যা যে বাড়বে সেকথা বলাই বাহুল্য। কারণ, বিগত কয়েক মাস ধরেই খবর আসছে, তাইওয়ানের নির্বাচনে নাকি কলকাঠি নাড়ছে বেজিং। চিনের তরফ থেকে লাই চিং তে-র বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছিল।
তাইওয়ান প্রেসিডেন্টকে ‘বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে বদনাম অবধি করতে চেয়েছিল চিনা সরকার। যদিও শেষ পর্যন্ত তাইওয়ানের জনগণ ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির নেতাকেই বেছে নিয়েছে। যিনি বরাবরই তাইওয়ানের নিজস্ব পরিচয়ের উপর জোর দিয়ে এসেছেন। যদিও চিং তে-র জয় নিয়ে বরাবরই আশাবাদি ছিল কূটনীতিকদের একাংশ।
এইদিন ভোটে জিতেই লাই বলেন, ‘চিনের হুমকি এবং হুঁশিয়ারি থেকে তাইওয়ানকে সুরক্ষিত করতে বদ্ধপরিকর। তবে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখাই হল তার প্রাথমিক কাজ।’ লাই-র আরও সংযোজন, ‘শান্তি হল অমূল্য। যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না। সার্বভৌমত্ব ছাড়া শান্তির কোনও অর্থ নেই। হংকংয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাবে। ওটা ভুয়ো শান্তি।’
বিগত কয়েক মাস ধরেই অভিযোগ উঠেছিল যে, তইওয়ানে ক্রমাগত আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করে চলেছে চিন। যাতে বেশ রুষ্ট হয়েছিল আমেরিকাও। বেজিং-র উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল কড়া বার্তা। আমেরিকার দাবি ছিল, এই নির্বাচনে ওয়াশিংটন নিজেও হস্তক্ষেপ করবেনা আর কারোর হস্তক্ষেপ মেনেও নেবেনা। যদিও আমেরিকার কোনও সতর্কবার্তাকেই খুব একটা পাত্তা দেননি শি জিনপিং। যদিও শেষ হাসি তো বেজিংয়ের ‘চক্ষুশূল’ নেতাই হাসলেন।