বাংলা হান্ট ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা (Health)। এর কারণ অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, শরীরচর্চা অভাব সহ বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সিদের মধ্যেও বাসা বাঁধছে বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ। বর্তমানে ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হচ্ছে। অনেকেই এখন বলতে শুনবেন, ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই মৃত্যু বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশি হয়।
এছাড়াও বর্তমানে কম বয়সীরা এর থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। এবার মনে হতেই পারে, ঘুমের মধ্যে কিভাবে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হয়। মূলত, ঘুমানোর সময় হৃদস্পন্দনের হার এমনিও কম থাকে। সেই সময় আচমকা যদি তা থেমে যায় তখনই হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হবে। চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক সাধারণ সমস্যা নয়। এটি বিরল বলা চলে। তবে যখন এই হার্ট অ্যাটাক হয় তার আগে কিছু লক্ষণ শরীরে দেখা যায়। এই লক্ষণগুলিকে চিহ্নিত করা গেলে বিপদ এড়োনো যেতে পারে।
ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, বিপদ এড়াতে কিছু লক্ষণ চিনে রাখুন (Health)
ঘুম মানুষের শরীর ও মনকে আরাম দেয়, ক্লান্তি দূর করে এবং পরবর্তী দিনের জন্য শক্তি জোগায়। কিন্তু অনেক সময় এই ঘুমের মধ্যেই ঘটে যেতে পারে ভয়ানক ঘটন যেমন হার্ট অ্যাটাক। আবার অনেকে সময় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা হঠাৎ মৃত্যুজনিত সমস্যার মুখোমুখি হন। প্রশ্ন হলো, ঘুমের মধ্যে কেন এবং কখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে?
চিকিৎসকদের মতে, যারা ৮ ঘণ্টার কম ঘুমোন, তাদের এই ঝুঁকি বেশি। পাশাপাশি অনিয়মিত ঘুম বা অনিদ্রার সমস্যা থাকলে, হৃদ্পেশির সঙ্কোচন এবং প্রসারণ অনিয়মিত হয়, ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। তবে আবার বেশি ঘুমো কিন্তু শরীরের পক্ষে ভালো নয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৯ -১১ ঘন্টার বেশি ঘুমোন তাদেরও রোগের সমস্যা দেখা যায়।
এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিস আছে। তাদের এই হাঁটাটাকে সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ ঘুমের মধ্যে রক্তচাপ বেড়ে যেতে বা কমে যেতে পারে। যার ফলে রক্তের শর্করা মাত্রা ওঠা নামা করতে পারে। এর ফলে বিপদ ঘটতে পারে যখন তখন।
আরও পড়ুন: Dental Health: হাসতে গেলেই লজ্জা! দাঁতের হলদেটে ভাব থেকে মুক্তি পান ঘরোয়া এই টোটকায়
বিপদ এড়াবেন কিভাবে?
১. ঘুমোনোর সময় যদি বাঁদিকে বুকে ব্যথা বুকে চাপ দিয়ে থাকে তাহলেই সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হবেন। যদি গ্যাস অম্বলের ব্যথা হয় তাহলে চোঁয়া ঢেঁকুর উঠবে। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা হলে একই জায়গায় মিনিটখানেক ধরে এ ব্যথা চলবে।
২. শোয়ার সময় যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হবে। অথবা দম বন্ধ হয়ে আসবে। দিন কয়েক আগে থেকে এই ধরনের লক্ষণ আপনার শরীরে দেখা যাবে। তখনই আপনি সতর্ক হবেন ।
৩. আপনি যদি এসির রুমে শুয়েও ক্রমাগত ঘামতে থাকেন। তাহলে তা মোটেই সুবিধাজনক নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)