বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের (State Government Employees) মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কর্মচারীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ (DA) ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকেই বর্ধিতহারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা। আগে ৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সম্প্রীতি ৪ শতাংশ বেড়ে তার পরিমাণ হয়েছে ১০ শতাংশ। যার সুবিধা পাবেন রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় খুশি হননি সরকারি কর্মীদের অধিকাংশ। বহুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা। বর্তমানে ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন কেন্দ্রের কর্মচারীরা। নতুন বছরের শুরুর দিকে ফের তা বৃদ্ধি পেলে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ভাতার পরিমাণ ৫০% ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪% ঘোষণার পরেও রীতিমতো অসন্তোষের সুর রাজ্য সরকারি কর্মীদের কণ্ঠে।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন আইনি পথেই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। হাইকোর্ট হয়ে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে চলছে বাংলার ডিএ মামলা। তবে সর্বোচ্চ আদালতে একাধিকবার পিছিয়ে যাচ্ছে এই মামলার শুনানি।
এই বিষয়ে মামলাকারী সংগঠন তরফে সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, ‘আগামী ৫ তারিখের পর সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানির হতে পারে। রাজ্যের সকল সরকারি কর্মচারীরা সর্বোচ্চ আদালত কি রায় দেয় দিকে চেয়ে রয়েছেন।’ তার কথায়, ‘সর্বোচ্চ আদালত যদি রাজ্য সরকারের SLP খারিজ করে দেয় সেক্ষেত্রে মামলাটি হাইকোর্টে চলে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে SAT-এও আমরা মামলাটিতে জয় পেয়েছি। মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে উঠলে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছিল, DA ঐচ্ছিক বিষয় নয়। এবার সুপ্রিম কোর্টেও আমাদের জয়ের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।’ পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে DA মামলা লড়ছে এরম আরও দুই সংগঠনও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে নিজেদের অবস্থানে অনড়।
আরও পড়ুন: ১০ দিন পর অবশেষে মিলল খোঁজ! কোথায় রয়েছে সন্দেশখালির শাহজাহান? জানলে ‘থ’ হয়ে যাবেন
প্রসঙ্গত, বহুমাস ধরে ডিএ নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। পূর্বে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা উঠলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর রাজ্য সরকারি নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেও তা খারিজ করে দেয়। শেষমেষ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে ডিএ মামলা।